ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গুয়াতেমালায় ভূমিকম্প ও ভূমিধসে ২জনের প্রাণহানি, ৫ জন আটকা সারাদেশে পুলিশের অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৭৮৭ জন পাবনায় তীব্র নদী ভাঙনে বিলীনের ‍মুখে ফেরিঘাট! আতঙ্কে এলাকবাসী গাইবান্ধায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ১০ জুয়াড়ি আটক আমার বিরুদ্ধে একজন নারী ভক্তকে ব্যবহার করে এমন মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদি: ডিপজল পুলিশ পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, লুট অর্ধকোটি টাকার মালামাল গুজরাটে সেতু ধসে ৯ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি, আহত আরও ৬ দীর্ঘমেয়াদি নয় মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নেই বেশি জোর দিচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা হাতিরঝিলে যুবদল কর্মী হত্যায় সুব্রত বাইন ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর অডিট রিপোর্টে মানের ঘাটতি, বিনিয়োগে আস্থার বাধা: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চলমান থাকলেও বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘ওয়ান টু ওয়ান নিগোশিয়েশনের মাধ্যমে বিষয়টি নিরসন করা হবে।’

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৮ জুলাই ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদের বৈঠক রয়েছে। আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে উপস্থিত থেকে আলোচনা চালাবেন। বৈঠকের পরই চিত্র পরিষ্কার হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানান, “এই শুল্ক কেবলমাত্র করের বিষয় নয়, বরং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সামগ্রিক বাণিজ্যনীতি। তাই সমাধানের জন্য শুধু শুল্ক নয়, নীতিগত দিকেও পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।” তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম মেনে চলে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের জন্য নীতির সমন্বয় জরুরি।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর তখন ৩৭ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হয়, যা পরে ৯ এপ্রিল তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে বেশিরভাগ দেশের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানি বাজার। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশের বেশি। ইপিবির তথ্যে, এই অঙ্ক ৮৭৬ কোটি ডলার। এসব রপ্তানির মধ্যে ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক, এছাড়া হোম টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, ক্যাপ, জুতা ও পরচুলাও উল্লেখযোগ্য।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারকে আমরা শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি মোকাবেলার অনুরোধ করেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের শুল্ক আলোচনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করা হোক এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তাদেরও আলোচনার অংশ করা হোক।”

তিনি মনে করেন, সমন্বিত উদ্যোগেই এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা সম্ভব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক আজ

আপডেট সময় ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চলমান থাকলেও বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘ওয়ান টু ওয়ান নিগোশিয়েশনের মাধ্যমে বিষয়টি নিরসন করা হবে।’

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৮ জুলাই ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদের বৈঠক রয়েছে। আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে উপস্থিত থেকে আলোচনা চালাবেন। বৈঠকের পরই চিত্র পরিষ্কার হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানান, “এই শুল্ক কেবলমাত্র করের বিষয় নয়, বরং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সামগ্রিক বাণিজ্যনীতি। তাই সমাধানের জন্য শুধু শুল্ক নয়, নীতিগত দিকেও পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।” তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম মেনে চলে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের জন্য নীতির সমন্বয় জরুরি।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর তখন ৩৭ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হয়, যা পরে ৯ এপ্রিল তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে বেশিরভাগ দেশের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানি বাজার। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশের বেশি। ইপিবির তথ্যে, এই অঙ্ক ৮৭৬ কোটি ডলার। এসব রপ্তানির মধ্যে ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক, এছাড়া হোম টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, ক্যাপ, জুতা ও পরচুলাও উল্লেখযোগ্য।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারকে আমরা শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি মোকাবেলার অনুরোধ করেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের শুল্ক আলোচনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করা হোক এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তাদেরও আলোচনার অংশ করা হোক।”

তিনি মনে করেন, সমন্বিত উদ্যোগেই এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা সম্ভব।