১১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 155

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন সরকারি গুদামে চাল ও গমের মোট মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিন লাখ টন বেশি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রেস উইং জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই দেশে চাল ও গমের সম্মিলিত মজুদ ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালের মজুদ ছিল ১০ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিক টন এবং গমের মজুদ ছিল ৪ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে চালের মজুদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ দশমিক ৪১ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

তবে গমের মজুদ কিছুটা কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ উৎস ও আমদানি থেকে সংগ্রহের তুলনায় গমের বিতরণ বেশি হওয়ায় গমের মজুদ নেমে এসেছে ২ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গমের চাহিদা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বেশি থাকায় বিতরণও বেড়েছে, ফলে মজুদ কমে গেছে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকার গুদামের মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও জোরদার করেছে। বিশেষ করে, ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল), খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিএফের মতো বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চাল-গম বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে মজুদে কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন আমদানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ কার্যক্রম আরও গতিশীল করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকার মনে করছে, চাল ও গমের বর্তমান মজুদ পরিস্থিতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্বস্তিদায়ক এবং আগামী দিনগুলোতেও এ ধারা বজায় রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং

আপডেট সময় ০৭:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন সরকারি গুদামে চাল ও গমের মোট মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিন লাখ টন বেশি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রেস উইং জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই দেশে চাল ও গমের সম্মিলিত মজুদ ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালের মজুদ ছিল ১০ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিক টন এবং গমের মজুদ ছিল ৪ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে চালের মজুদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ দশমিক ৪১ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

তবে গমের মজুদ কিছুটা কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ উৎস ও আমদানি থেকে সংগ্রহের তুলনায় গমের বিতরণ বেশি হওয়ায় গমের মজুদ নেমে এসেছে ২ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গমের চাহিদা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বেশি থাকায় বিতরণও বেড়েছে, ফলে মজুদ কমে গেছে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকার গুদামের মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও জোরদার করেছে। বিশেষ করে, ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল), খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিএফের মতো বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চাল-গম বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে মজুদে কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন আমদানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ কার্যক্রম আরও গতিশীল করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকার মনে করছে, চাল ও গমের বর্তমান মজুদ পরিস্থিতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্বস্তিদায়ক এবং আগামী দিনগুলোতেও এ ধারা বজায় রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।