ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে কিশোর গ্যাং ‘ডেমন বয়েজ’-এর ৮ সদস্য আটক বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের শঙ্কা ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল বিনিয়োগ সহায়তায় নতুন মাত্রা: বিডার আধুনিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে: রিজভী পাবনার ধর্মঘট প্রত্যাহার, ৪৫ ঘন্টা পর পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল শুরু সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৫৪ লাখ টাকার ট্রাকভর্তি ভারতীয় ফুচকা জব্দ কিশোরগঞ্জের গোরখোদক মনু মিয়া আর নেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ পাকিস্তানে নদীর তীরে পিকনিকে গিয়ে প্রান হারালেন একই পরিবারের ৯ জন

কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার কিনছে সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

সরকার কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুমোদিত সারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার টন এমওপি, ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৩৪২ মার্কিন ডলার।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্রুপ চিমিক তিউনিসিয়েন (জিসিটি) ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই আমদানির জন্য ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৫০ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১৩তম (ঐচ্ছিক-৪র্থ) লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১০ মার্কিন ডলার।

সবগুলো চুক্তিই কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “হরমুজ প্রণালীর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গম বা জ্বালানি আমদানিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও সারের আমদানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে সরকার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

এই সারগুলো দেশের কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার কিনছে সরকার

আপডেট সময় ০৬:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

সরকার কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুমোদিত সারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার টন এমওপি, ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৩৪২ মার্কিন ডলার।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্রুপ চিমিক তিউনিসিয়েন (জিসিটি) ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই আমদানির জন্য ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৫০ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১৩তম (ঐচ্ছিক-৪র্থ) লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১০ মার্কিন ডলার।

সবগুলো চুক্তিই কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “হরমুজ প্রণালীর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গম বা জ্বালানি আমদানিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও সারের আমদানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে সরকার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

এই সারগুলো দেশের কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।