০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার জেরে আবারও আলোচনায় ফিরে এসেছে স্বর্ণ। নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতীক হিসেবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়েছে দুবাইসহ পুরো আমিরাতের বাজারেও। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবারও নিরাপদ আশ্রয়ের তকমা পাচ্ছে স্বর্ণ।

বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার আবহে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ইসরায়েলি হামলার কারণে কয়েক মাসের পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতি নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে বিনিয়োগকারীদের মনে। এরই জেরে গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম হঠাৎ করে বেড়ে ৩,৪৪০ থেকে ৩,৪৫০ মার্কিন ডলারের প্রতিরোধ অঞ্চলে পৌঁছে যায়। যদিও পরে কিছুটা কমে ৩,৩৮০ ডলারে এসে স্থিতিশীল হয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াও মার্কিন মুদ্রানীতি, বৈশ্বিক বাণিজ্য অবস্থা ও ডলারের দুর্বলতাও স্বর্ণের দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। বিশ্লেষক ড্যানিয়েলা সাবিন হ্যাথর্ন বলেন, ‘‘যদি ডলার দুর্বল থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা যায়, তাহলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।’’

দিরহামের বিপরীতে ডলারের দরপতনে আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে কম দামে স্বর্ণ কিনতে পারছেন, ফলে গহনার দোকান থেকে শুরু করে স্বর্ণের বারের বাজারে চাহিদা আবারও বাড়ছে।

বিশ্লেষক হ্যাথর্ন আরও জানান, স্বর্ণের রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স (RSI) ইতিবাচক অঞ্চলে ফিরেছে, যা ভবিষ্যতে আরও দাম বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে ৩,৪৪০ ডলারের প্রতিরোধ স্তর ভাঙা এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

এই সময়েই কিছুটা সক্রিয়তা দেখা গেছে রুপার বাজারেও। জুনের শুরুতে রুপার দাম বাড়লেও সপ্তাহের মাঝামাঝি তা কিছুটা নেমে আসে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ ছেড়ে আবার স্বর্ণের দিকেই ঝুঁকছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রুপা একদিকে যেমন মূল্যবান ধাতু, অন্যদিকে শিল্পখাতে বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় এর মূল্য বিশ্ববাজারের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর বেশি নির্ভরশীল।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল ডলারের ফলে স্বর্ণের বাজার এখনো চাঙ্গা। আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি হতে পারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সময়।

তবে শেষমেশ হ্যাথর্ন সতর্ক করে বলেন, ‘‘পূর্বের সাফল্য কখনোই ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নয়।’’ তবে আপাতত বলা যায়, স্বর্ণের ঝলক ফের ফিরে এসেছে, আর রুপা সেই ঝলকের পেছনেই ছুটছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

আপডেট সময় ০৫:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার জেরে আবারও আলোচনায় ফিরে এসেছে স্বর্ণ। নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতীক হিসেবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়েছে দুবাইসহ পুরো আমিরাতের বাজারেও। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবারও নিরাপদ আশ্রয়ের তকমা পাচ্ছে স্বর্ণ।

বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার আবহে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ইসরায়েলি হামলার কারণে কয়েক মাসের পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতি নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে বিনিয়োগকারীদের মনে। এরই জেরে গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম হঠাৎ করে বেড়ে ৩,৪৪০ থেকে ৩,৪৫০ মার্কিন ডলারের প্রতিরোধ অঞ্চলে পৌঁছে যায়। যদিও পরে কিছুটা কমে ৩,৩৮০ ডলারে এসে স্থিতিশীল হয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াও মার্কিন মুদ্রানীতি, বৈশ্বিক বাণিজ্য অবস্থা ও ডলারের দুর্বলতাও স্বর্ণের দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। বিশ্লেষক ড্যানিয়েলা সাবিন হ্যাথর্ন বলেন, ‘‘যদি ডলার দুর্বল থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা যায়, তাহলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।’’

দিরহামের বিপরীতে ডলারের দরপতনে আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে কম দামে স্বর্ণ কিনতে পারছেন, ফলে গহনার দোকান থেকে শুরু করে স্বর্ণের বারের বাজারে চাহিদা আবারও বাড়ছে।

বিশ্লেষক হ্যাথর্ন আরও জানান, স্বর্ণের রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স (RSI) ইতিবাচক অঞ্চলে ফিরেছে, যা ভবিষ্যতে আরও দাম বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে ৩,৪৪০ ডলারের প্রতিরোধ স্তর ভাঙা এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

এই সময়েই কিছুটা সক্রিয়তা দেখা গেছে রুপার বাজারেও। জুনের শুরুতে রুপার দাম বাড়লেও সপ্তাহের মাঝামাঝি তা কিছুটা নেমে আসে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ ছেড়ে আবার স্বর্ণের দিকেই ঝুঁকছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রুপা একদিকে যেমন মূল্যবান ধাতু, অন্যদিকে শিল্পখাতে বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় এর মূল্য বিশ্ববাজারের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর বেশি নির্ভরশীল।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল ডলারের ফলে স্বর্ণের বাজার এখনো চাঙ্গা। আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি হতে পারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সময়।

তবে শেষমেশ হ্যাথর্ন সতর্ক করে বলেন, ‘‘পূর্বের সাফল্য কখনোই ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নয়।’’ তবে আপাতত বলা যায়, স্বর্ণের ঝলক ফের ফিরে এসেছে, আর রুপা সেই ঝলকের পেছনেই ছুটছে।