০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির তুলনায় অনুপাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বৈদেশিক উৎস থেকে।

সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করবে কেবল ঋণের সুদ পরিশোধেই।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাজেট বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভর করবে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই বাজেট সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. সালেহ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বড় হলেও ঘাটতির হার জিডিপির তুলনায় সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব আহরণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির তুলনায় অনুপাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বৈদেশিক উৎস থেকে।

সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করবে কেবল ঋণের সুদ পরিশোধেই।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাজেট বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভর করবে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই বাজেট সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. সালেহ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বড় হলেও ঘাটতির হার জিডিপির তুলনায় সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব আহরণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।