ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আশানুরূপ উন্নতি হয়নি আইনশৃঙ্খলার : রিজভী জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভাবে কাজ করতে চায় : ফরিদা আখতার হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত আওয়ামীলীগের চৌদ্দগোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের কেনার : তাজুল ইসলাম মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির তুলনায় অনুপাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বৈদেশিক উৎস থেকে।

সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করবে কেবল ঋণের সুদ পরিশোধেই।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাজেট বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভর করবে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই বাজেট সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. সালেহ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বড় হলেও ঘাটতির হার জিডিপির তুলনায় সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব আহরণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির তুলনায় অনুপাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বৈদেশিক উৎস থেকে।

সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করবে কেবল ঋণের সুদ পরিশোধেই।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাজেট বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভর করবে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই বাজেট সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. সালেহ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বড় হলেও ঘাটতির হার জিডিপির তুলনায় সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব আহরণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।