ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

আজ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট আজ জাতির সামনে তুলে ধরবেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলোকে এ সম্প্রচারে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের এটি প্রথম বাজেট উপস্থাপন, যা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত উৎস থেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্যয়ের কাঠামোয় অনুন্নয়ন ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মধ্যেই এ বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে দেশের মানুষ যেমন নতুন আশায় তাকিয়ে রয়েছে, তেমনি সরকারের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি রোধ, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং বেকারত্ব কমানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট আজ জাতির সামনে তুলে ধরবেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলোকে এ সম্প্রচারে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের এটি প্রথম বাজেট উপস্থাপন, যা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত উৎস থেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্যয়ের কাঠামোয় অনুন্নয়ন ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মধ্যেই এ বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে দেশের মানুষ যেমন নতুন আশায় তাকিয়ে রয়েছে, তেমনি সরকারের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি রোধ, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং বেকারত্ব কমানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।