০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস পাবে শিল্পখাত: জ্বালানি মন্ত্রণালয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 64

ছবি সংগৃহীত

 

 

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামী ২৮ মে থেকে শিল্পে দৈনিক আরও ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) পেট্রোবাংলার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার হওয়ায় প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহের দৈনিক গড় পরিমাণ ছিল ৮২৩ মিলিয়ন ঘনফুট। আর ২০২৫ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯৭ মিলিয়ন ঘনফুটে। ফলে এক বছরে সরবরাহ বেড়েছে ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা ২১ শতাংশ বেশি।

সরকার শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে ছয়টি অতিরিক্ত এলএনজি কার্গো আমদানির ব্যবস্থা করেছে। এসব কার্গোর গড় আমদানি মূল্য প্রতি ঘনমিটার প্রায় ৬৫ টাকা। অথচ শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য বর্তমান গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৩১.৫০ টাকা। এতে করে প্রতি ঘনমিটারে সরকারকে গড়ে ৩৫ টাকার মতো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

এছাড়া শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন পুনর্বিন্যাস ও অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির ফলে ২৮ মে থেকে প্রতিদিন আরও ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস শিল্পখাতে সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে সরকার অত্যন্ত তৎপর এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ করছে। সরকারের প্রত্যাশা, সঠিক তথ্য জানার মাধ্যমে এই খাতে যেকোনো বিভ্রান্তির অবসান হবে।

এই পদক্ষেপ শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস পাবে শিল্পখাত: জ্বালানি মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ০৪:১৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামী ২৮ মে থেকে শিল্পে দৈনিক আরও ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) পেট্রোবাংলার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার হওয়ায় প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহের দৈনিক গড় পরিমাণ ছিল ৮২৩ মিলিয়ন ঘনফুট। আর ২০২৫ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯৭ মিলিয়ন ঘনফুটে। ফলে এক বছরে সরবরাহ বেড়েছে ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা ২১ শতাংশ বেশি।

সরকার শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে ছয়টি অতিরিক্ত এলএনজি কার্গো আমদানির ব্যবস্থা করেছে। এসব কার্গোর গড় আমদানি মূল্য প্রতি ঘনমিটার প্রায় ৬৫ টাকা। অথচ শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য বর্তমান গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৩১.৫০ টাকা। এতে করে প্রতি ঘনমিটারে সরকারকে গড়ে ৩৫ টাকার মতো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

এছাড়া শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন পুনর্বিন্যাস ও অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির ফলে ২৮ মে থেকে প্রতিদিন আরও ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস শিল্পখাতে সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে সরকার অত্যন্ত তৎপর এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ করছে। সরকারের প্রত্যাশা, সঠিক তথ্য জানার মাধ্যমে এই খাতে যেকোনো বিভ্রান্তির অবসান হবে।

এই পদক্ষেপ শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।