০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 132

ছবি সংগৃহীত

 

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “ব্যাংকের স্বার্থ নয়, আমরা আমানতকারীদের স্বার্থে আছি। ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবেই।”

বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গভর্নর মনসুর বলেন, “ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবেই। প্রয়োজনে ব্যাংক মার্জ করা হবে, আরও যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা-ও নেওয়া হবে। আমানতকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমরা তাদের পাশে আছি।”

তিনি জানান, ডলারের দাম এখন থেকে বাজারভিত্তিকভাবে নির্ধারিত হবে। তবে বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। “যারা অযৌক্তিক আচরণ করবে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন গভর্নর।

বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে উল্লেখ করে গভর্নর জানান, “আমরা আশাবাদী, চলতি মাস থেকেই (মে) মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে চলে আসবে। আর আগামী বছরের এই সময়ের মধ্যে তা ৫ শতাংশের নিচে নামবে।”

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে ড. মনসুর বলেন, “জুনের মধ্যে আইএমএফের দুটি কিস্তিসহ আরও কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার আশা করছি। তবে আইএমএফের ঋণ ছাড়া আমাদের অর্থনীতি চলবে না এই ধারণা ঠিক নয়। আমরা নিজের শক্তিতে এগিয়ে যাবো। সংস্কার অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, “অনেকে নানা কথা বলেন, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী। এখন সময় এসেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন থেকে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর

আপডেট সময় ০৫:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “ব্যাংকের স্বার্থ নয়, আমরা আমানতকারীদের স্বার্থে আছি। ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবেই।”

বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গভর্নর মনসুর বলেন, “ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবেই। প্রয়োজনে ব্যাংক মার্জ করা হবে, আরও যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা-ও নেওয়া হবে। আমানতকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমরা তাদের পাশে আছি।”

তিনি জানান, ডলারের দাম এখন থেকে বাজারভিত্তিকভাবে নির্ধারিত হবে। তবে বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। “যারা অযৌক্তিক আচরণ করবে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন গভর্নর।

বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে উল্লেখ করে গভর্নর জানান, “আমরা আশাবাদী, চলতি মাস থেকেই (মে) মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে চলে আসবে। আর আগামী বছরের এই সময়ের মধ্যে তা ৫ শতাংশের নিচে নামবে।”

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে ড. মনসুর বলেন, “জুনের মধ্যে আইএমএফের দুটি কিস্তিসহ আরও কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার আশা করছি। তবে আইএমএফের ঋণ ছাড়া আমাদের অর্থনীতি চলবে না এই ধারণা ঠিক নয়। আমরা নিজের শক্তিতে এগিয়ে যাবো। সংস্কার অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, “অনেকে নানা কথা বলেন, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী। এখন সময় এসেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন থেকে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।