১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে কুলাউড়ায় চা উৎপাদনে নতুন মাইলফলক
বাংলাদেশের চা শিল্পে একটি গৌরবময় অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে ইস্পাহানী কোম্পানির মালিকানাধীন গাজীপুরের কুলাউড়া উপজেলায় এবার চা উৎপাদনের নতুন মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। ২৬টি চা-বাগানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে কুলাউড়ার বাগানগুলোতে। তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯২ সালে কুলাউড়ার চা শিল্পের সূচনা ঘটে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় থেকে শুরু হওয়া এই অঞ্চলের চা শিল্প এবারও দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।
চলতি বছর কুলাউড়ার বিভিন্ন চা বাগান থেকে প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। গাজীপুরে কুলাউড়ার চা বাগানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চায়ের উৎপাদন দেখা গেছে। এ বাগানের আয়তন ২০৫৬.৮৪ একর। চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার জাবের আলী শাহ জানান, চা-বাগানের ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ কর্মীসংখ্যা এবং উন্নত কৃষি পরিকল্পনার কারণে উৎপাদনশীলতায় এমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সত্ত্বেও, কুলাউড়ার চা বাগানগুলোতে নিয়মিত সেচ ব্যবস্থা এবং মাটির উর্বরতা রক্ষার কার্যক্রম এই উৎপাদনের পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। চা-বাগানগুলোর ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং বাগান উন্নয়নের জন্য নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। যা এত বছর পর এবারই চা উৎপাদনে এক ঐতিহাসিক সাফল্য এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অর্জন শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের চা শিল্পের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে। চা শিল্পের এই অগ্রগতি কৃষি অর্থনীতির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, কুলাউড়ার চা-বাগানগুলোতে উন্নতমানের অর্গানিক চায়ের উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া উদ্যোগগুলো আগামী দিনে এই শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করবে।