বেক্সিমকোর তিন প্রতিষ্ঠানে নতুন পরিচালনা পর্ষদ: স্বচ্ছতা ও সুশাসনের পথে অগ্রযাত্রা
বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো লিমিটেড), বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এবং শাইন পুকুর সিরামিকস লিমিটেড এ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি কমিশনের এক বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্ধারিত নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং এটি আসন্ন যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বিএসইসি আইন ১৯৯৩-এর ১৬ ধারার অধীনে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নতুন পরিচালনা পর্ষদে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পর্ষদে রয়েছেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর ইসলাম, বেঙ্গল ওভারসিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম, লেখক ও সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ বিন জুলফিকার, দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, ফ্রিল্যান্স কনসালটেন্ট মির্জা হামিদুর রহমান, এমএনএ অ্যাসোসিয়েট-এর সিইও এম নুরুল আলম, ইনফাইনাইজেন্ট কনসালটিং লিমিটেডের প্রধান কনসালট্যান্ট শেখ নাহার মাহমুন, সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড সাভারের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল ইসলাম এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। এই পর্ষদ সদস্যরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবেন।
জানা গেছে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেক্সিমকোর উপদেষ্টা পরিশোধ কমিটির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। কমিটির সভায় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা শেষে কোম্পানির স্বার্থে এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
বেক্সিমকো গ্রুপের এই তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের শিল্প, ওষুধ, ও সিরামিক শিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালকদের অন্তর্ভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর শাসন ব্যবস্থায় আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।