শেয়ারবাজারে টানা দরপতন ও লেনদেনে খরা, উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা

- আপডেট সময় ০৩:০১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / 30
দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লেনদেনের ধীর গতি, যা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগকে আরো তীব্র করে তুলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। এটি বাজারের স্থবিরতার এক স্পষ্ট প্রতিফলন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দিনভর লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৯১ কোটি সাত লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এই বিশাল ব্যবধান বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার ইঙ্গিত দেয়।
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডিএসইর সবকটি মূল্যসূচকও নিম্নমুখী হয়েছে। একই রকম চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। যদিও সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে, তবে দরপতনের ধারা সেখানেও অব্যাহত ছিল।
টানা দরপতনে হতাশ বিনিয়োগকারীরা রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই কার্যালয়ের সামনে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তারা দাবি করছেন, বাজারে কৃত্রিম প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের অভাব, স্বচ্ছ নীতিমালা না থাকা, কোম্পানির আর্থিক বিবরণীতে অস্পষ্টতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতির কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে নানা গুজব ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বাজার ব্যবস্থাপনায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় নীতিগত সংস্কার এবং তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা না হলে বাজারে এই ধস অব্যাহত থাকতে পারে।
শেয়ারবাজারের এ ধরনের অস্থিরতা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।