ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ অ-১৮ এশিয়া কাপ হকিতে জাপানের কাছে বাংলাদেশের নারী দলের বড় হার: ১১-০ গোলে বিধ্বস্ত! গাজায় আরও এক ফুটবলারের মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল মুহান্নাদের ঈদে শাকিব খানের নতুন চমক, অ্যাকশন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলিউড অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন আর নেই আশুগঞ্জে অবৈধ সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড মিয়ানমারে কেএনডিএফ-এর হামলায় ভূপাতিত জান্তা সরকারের যুদ্ধবিমান বিশ্বে প্রথমবার তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া শুটিংয়ের মাঝে অসুস্থ স্বস্তিকা দত্ত, হাসপাতালে ভর্তি চূড়ান্ত হলো দুই এল ক্লাসিকো, ঐতিহাসিক ক্যাম্প ন্যুতে ফিরছে রোমাঞ্চ

চীনের শুল্ক শিথিলতায় বিশ্ব বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ৪০০ দিরহামের নিচে নেমে এসেছে। চীন কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথা জানালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়।

শুক্রবার দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রাম ৩৯৭.২৫ দিরহামে স্থির হয়েছে। এছাড়া ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম যথাক্রমে ৩৬৭.৭৫, ৩৫২.৭৫ এবং ৩০২.২৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪২০ দিরহাম। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ২৩ দিরহাম, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬৩ টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা হিসেবে গণনা)।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৩০৬.৯৭ মার্কিন ডলারে রয়েছে, যা কিছু সময়ের জন্য ৩,৩০০ ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

চীন জানিয়েছে, তারা কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ভাবছে এবং ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য চিহ্নিত করতে বলেছে। অর্থনৈতিক চাপে থাকা চীনের এ পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যে বড় একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেন্টুরি ফিনান্সের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভালে চা বলেন, ‘মৌলিকভাবে মুদ্রানীতির সহজীকরণ এবং মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন স্বর্ণের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। যদিও মার্কিন-চীন শুল্ক শিথিলতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য বাজারে ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়েছে, তবুও সহজ মুদ্রানীতির প্রভাবই বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট একতরফা শুল্ক কমানোর যে গুজব ছড়িয়েছিল তা নাকচ করেছেন। এর ফলে মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। চীনের শুল্ক শিথিলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরবর্তী বাজার পরিস্থিতির বড় নির্ধারক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের শুল্ক শিথিলতায় বিশ্ব বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

আপডেট সময় ১২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ৪০০ দিরহামের নিচে নেমে এসেছে। চীন কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথা জানালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়।

শুক্রবার দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রাম ৩৯৭.২৫ দিরহামে স্থির হয়েছে। এছাড়া ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম যথাক্রমে ৩৬৭.৭৫, ৩৫২.৭৫ এবং ৩০২.২৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪২০ দিরহাম। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ২৩ দিরহাম, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬৩ টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা হিসেবে গণনা)।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৩০৬.৯৭ মার্কিন ডলারে রয়েছে, যা কিছু সময়ের জন্য ৩,৩০০ ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

চীন জানিয়েছে, তারা কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ভাবছে এবং ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য চিহ্নিত করতে বলেছে। অর্থনৈতিক চাপে থাকা চীনের এ পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যে বড় একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেন্টুরি ফিনান্সের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভালে চা বলেন, ‘মৌলিকভাবে মুদ্রানীতির সহজীকরণ এবং মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন স্বর্ণের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। যদিও মার্কিন-চীন শুল্ক শিথিলতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য বাজারে ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়েছে, তবুও সহজ মুদ্রানীতির প্রভাবই বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট একতরফা শুল্ক কমানোর যে গুজব ছড়িয়েছিল তা নাকচ করেছেন। এর ফলে মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। চীনের শুল্ক শিথিলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরবর্তী বাজার পরিস্থিতির বড় নির্ধারক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।