ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্রিকেটে চলছে ‘মব জাস্টিস’? গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি’র তৎপরতায় রাজনীতিতে স্পষ্ট হচ্ছে তিনটি বলয় দ্রুত বিচার শেষ করে এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের দাবি শান্তি আমাদের অগ্রাধিকার, দুর্বলতা নয়: শাহবাজ শরিফ ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২ দিন ধরে গোলাগুলি চলছে কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী হামলার নিন্দায় জাতিসংঘ, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান ক্যান্সার চিকিৎসায় বায়োটেক প্রযুক্তিতে সমাধানের আশায় দেশীয় ওষুধ শিল্প সংকট রাজনীতিবিদদের সুযোগ এনে দেয়’: জ্বালানি উপদেষ্টা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর রাখার পক্ষে জামায়াতে ইসলামী

চীনের শুল্ক শিথিলতায় বিশ্ব বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ৪০০ দিরহামের নিচে নেমে এসেছে। চীন কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথা জানালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়।

শুক্রবার দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রাম ৩৯৭.২৫ দিরহামে স্থির হয়েছে। এছাড়া ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম যথাক্রমে ৩৬৭.৭৫, ৩৫২.৭৫ এবং ৩০২.২৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪২০ দিরহাম। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ২৩ দিরহাম, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬৩ টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা হিসেবে গণনা)।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৩০৬.৯৭ মার্কিন ডলারে রয়েছে, যা কিছু সময়ের জন্য ৩,৩০০ ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

চীন জানিয়েছে, তারা কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ভাবছে এবং ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য চিহ্নিত করতে বলেছে। অর্থনৈতিক চাপে থাকা চীনের এ পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যে বড় একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেন্টুরি ফিনান্সের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভালে চা বলেন, ‘মৌলিকভাবে মুদ্রানীতির সহজীকরণ এবং মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন স্বর্ণের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। যদিও মার্কিন-চীন শুল্ক শিথিলতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য বাজারে ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়েছে, তবুও সহজ মুদ্রানীতির প্রভাবই বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট একতরফা শুল্ক কমানোর যে গুজব ছড়িয়েছিল তা নাকচ করেছেন। এর ফলে মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। চীনের শুল্ক শিথিলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরবর্তী বাজার পরিস্থিতির বড় নির্ধারক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের শুল্ক শিথিলতায় বিশ্ব বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

আপডেট সময় ১২:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ৪০০ দিরহামের নিচে নেমে এসেছে। চীন কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথা জানালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়।

শুক্রবার দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রাম ৩৯৭.২৫ দিরহামে স্থির হয়েছে। এছাড়া ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম যথাক্রমে ৩৬৭.৭৫, ৩৫২.৭৫ এবং ৩০২.২৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪২০ দিরহাম। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ২৩ দিরহাম, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬৩ টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা হিসেবে গণনা)।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৩০৬.৯৭ মার্কিন ডলারে রয়েছে, যা কিছু সময়ের জন্য ৩,৩০০ ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

চীন জানিয়েছে, তারা কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ভাবছে এবং ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য চিহ্নিত করতে বলেছে। অর্থনৈতিক চাপে থাকা চীনের এ পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যে বড় একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেন্টুরি ফিনান্সের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভালে চা বলেন, ‘মৌলিকভাবে মুদ্রানীতির সহজীকরণ এবং মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন স্বর্ণের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। যদিও মার্কিন-চীন শুল্ক শিথিলতা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য বাজারে ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়েছে, তবুও সহজ মুদ্রানীতির প্রভাবই বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট একতরফা শুল্ক কমানোর যে গুজব ছড়িয়েছিল তা নাকচ করেছেন। এর ফলে মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। চীনের শুল্ক শিথিলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরবর্তী বাজার পরিস্থিতির বড় নির্ধারক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।