ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিল্প রোবট ব্যবহারে বিশ্বে শীর্ষে চীন, উত্থানে ভারত ও তুরস্ক ১৪ ঘণ্টা পর মিলল নিখোঁজ শিশুর নিথর দেহ নাইজেরিয়ার বেনু রাজ্যে সশস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত দেশের ৯ অঞ্চলে নদীবন্দরে সতর্কসংকেত, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা ইউরেনিয়াম মজুদের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সতর্কবার্তা শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন ইসরায়েলের বেন গুরিয়নের বিমানবন্দরের কাছে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আজ সারাদেশে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা বাতিল, অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক কঙ্গোর কঙ্গো নদীতে ভয়াবহ নৌকাবিপর্যয়ে ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ বহু

আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি হয়নি, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ে অনিশ্চয়তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দুই সপ্তাহব্যাপী আলোচনার পরও সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার। ফলে আপাতত এই দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনের শেষ দিকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে। ওয়াশিংটনে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।

পাপাজর্জিও জানান, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি আশানুরূপ এবং বিনিময় হার মোটামুটি স্থিতিশীল। রিজার্ভের পরিমাণ তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলেও বিনিময় হার আরও নমনীয় হলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।

করব্যবস্থা সংস্কার, করনীতিকে সহজতর করা এবং করছাড় হ্রাস করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর টেকসই পথ খুঁজে বের করাই এখন সময়ের দাবি। একইসঙ্গে করনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ব্যাংক খাতের অবস্থা উন্নত করতে আইএমএফ আইনি সংস্কার, সঠিক সম্পদ মূল্যায়ন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে জোর দিয়েছে সংস্থাটি।

৬ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ প্রতিনিধিরা অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিদ্যুৎ বিভাগসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও দু’দফা বৈঠক হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও আইএমএফের মধ্যে এই ঋণচুক্তি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে, জুন মাসেই বাকি দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় হবে। তবে এবার কোনো স্টাফ লেভেল চুক্তি না হওয়ায় বিষয়টি ঘিরে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি হয়নি, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় ০৭:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দুই সপ্তাহব্যাপী আলোচনার পরও সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার। ফলে আপাতত এই দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনের শেষ দিকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে। ওয়াশিংটনে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।

পাপাজর্জিও জানান, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি আশানুরূপ এবং বিনিময় হার মোটামুটি স্থিতিশীল। রিজার্ভের পরিমাণ তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলেও বিনিময় হার আরও নমনীয় হলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।

করব্যবস্থা সংস্কার, করনীতিকে সহজতর করা এবং করছাড় হ্রাস করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর টেকসই পথ খুঁজে বের করাই এখন সময়ের দাবি। একইসঙ্গে করনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ব্যাংক খাতের অবস্থা উন্নত করতে আইএমএফ আইনি সংস্কার, সঠিক সম্পদ মূল্যায়ন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে জোর দিয়েছে সংস্থাটি।

৬ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ প্রতিনিধিরা অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিদ্যুৎ বিভাগসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও দু’দফা বৈঠক হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও আইএমএফের মধ্যে এই ঋণচুক্তি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে, জুন মাসেই বাকি দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় হবে। তবে এবার কোনো স্টাফ লেভেল চুক্তি না হওয়ায় বিষয়টি ঘিরে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।