ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।