০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।