০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শিল্প বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: কোরিয়ান ইপিজেড পরিদর্শনে বিদেশি প্রতিনিধিদল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 70

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) পরিদর্শন করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ এর অংশ হিসেবে সোমবার (৭ এপ্রিল) এই পরিদর্শন কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বিডা জানিয়েছে, যারা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী, মূলত তাদেরই সামনে কোরিয়ান ইপিজেডের বাস্তবচিত্র তুলে ধরাই ছিল এ সফরের মূল উদ্দেশ্য। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ মোট ৪০টি দেশের ৬০ জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণে এ সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিদের ইপিজেড পরিদর্শনের সময় প্রকল্পের কাঠামো, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা, এবং চলমান শিল্প কার্যক্রম ঘুরে দেখানো হয়। বিশেষ করে যে বিষয়টি বিদেশি প্রতিনিধিদের নজর কাড়ে, তা হলো এই ইপিজেডের ৫২ শতাংশ জমি বনায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণে নির্ধারিত, যা একে দেশের অন্যতম পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চলে পরিণত করেছে।

চট্টগ্রামের এই কোরিয়ান ইপিজেড যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। শুরুর দিকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগ থাকলেও পরবর্তীতে কোরিয়ান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান গ্রুপ নিজস্ব অর্থায়নে এটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এখন এটি দেশের অন্যতম সফল এবং প্রযুক্তিনির্ভর ইপিজেড হিসেবে পরিচিত।

বিডা আশাবাদী, এই পরিদর্শনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং চলতি বিনিয়োগ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ ধরনের ভিজিট শুধু বিনিয়োগ বাড়াতেই নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প খাতের সক্ষমতা, অবকাঠামোগত অগ্রগতি এবং পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিল্প বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: কোরিয়ান ইপিজেড পরিদর্শনে বিদেশি প্রতিনিধিদল

আপডেট সময় ০১:১৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) পরিদর্শন করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ এর অংশ হিসেবে সোমবার (৭ এপ্রিল) এই পরিদর্শন কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বিডা জানিয়েছে, যারা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী, মূলত তাদেরই সামনে কোরিয়ান ইপিজেডের বাস্তবচিত্র তুলে ধরাই ছিল এ সফরের মূল উদ্দেশ্য। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ মোট ৪০টি দেশের ৬০ জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণে এ সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিদের ইপিজেড পরিদর্শনের সময় প্রকল্পের কাঠামো, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা, এবং চলমান শিল্প কার্যক্রম ঘুরে দেখানো হয়। বিশেষ করে যে বিষয়টি বিদেশি প্রতিনিধিদের নজর কাড়ে, তা হলো এই ইপিজেডের ৫২ শতাংশ জমি বনায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণে নির্ধারিত, যা একে দেশের অন্যতম পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চলে পরিণত করেছে।

চট্টগ্রামের এই কোরিয়ান ইপিজেড যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। শুরুর দিকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগ থাকলেও পরবর্তীতে কোরিয়ান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান গ্রুপ নিজস্ব অর্থায়নে এটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এখন এটি দেশের অন্যতম সফল এবং প্রযুক্তিনির্ভর ইপিজেড হিসেবে পরিচিত।

বিডা আশাবাদী, এই পরিদর্শনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং চলতি বিনিয়োগ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ ধরনের ভিজিট শুধু বিনিয়োগ বাড়াতেই নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প খাতের সক্ষমতা, অবকাঠামোগত অগ্রগতি এবং পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।