ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আলুচাষির আর্তনাদ: হিমাগার সিন্ডিকেটের ফাঁদে কৃষকের করুণ পরিণতি ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প-পুতিন শীঘ্রই আলোচনায় বসছেন টক-মিষ্টি তেঁতুল: পাহাড়ের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত, স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনা, কৃষকদের স্বপ্ন তেল উৎপাদন ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়: নাম চূড়ান্ত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডব: নিহত ৩৪, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা: ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে প্রস্তুতির নির্দেশ নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ৩১, হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার লাকসামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক: নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

আফগানিস্তান শিগগিরই ওয়াখান করিডোর হয়ে একটি নতুন মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা এই করিডোর নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

এই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চীনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন সহজ হবে। এটি হবে এক নতুন বাণিজ্য পথ, যা চীনের বহির্বাণিজ্যের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মহাসড়ক One Belt One Road Initiative-এর (OBOR) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, যা চীনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতির অংশ। তবে এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধা হলো, এটি পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার কিছু নিরাপত্তা-ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য বিকল্প রুট তৈরি করবে। ফলে One Belt One Road Initiative-এর নিরবচ্ছিন্ন অগ্রযাত্রা আরও নিশ্চিত হবে।

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান এই প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। চীনের সঙ্গে সংযুক্ত এই নতুন সড়ক পথ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহজ হবে না। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রকল্পের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সবকিছু অনুকূলে থাকলে চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:১৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক: নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে

আপডেট সময় ১২:১৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

আফগানিস্তান শিগগিরই ওয়াখান করিডোর হয়ে একটি নতুন মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা এই করিডোর নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

এই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চীনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন সহজ হবে। এটি হবে এক নতুন বাণিজ্য পথ, যা চীনের বহির্বাণিজ্যের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মহাসড়ক One Belt One Road Initiative-এর (OBOR) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, যা চীনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতির অংশ। তবে এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধা হলো, এটি পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার কিছু নিরাপত্তা-ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য বিকল্প রুট তৈরি করবে। ফলে One Belt One Road Initiative-এর নিরবচ্ছিন্ন অগ্রযাত্রা আরও নিশ্চিত হবে।

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান এই প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। চীনের সঙ্গে সংযুক্ত এই নতুন সড়ক পথ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহজ হবে না। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রকল্পের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সবকিছু অনুকূলে থাকলে চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।