০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক: নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / 94

ছবি সংগৃহীত

 

আফগানিস্তান শিগগিরই ওয়াখান করিডোর হয়ে একটি নতুন মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা এই করিডোর নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

এই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চীনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন সহজ হবে। এটি হবে এক নতুন বাণিজ্য পথ, যা চীনের বহির্বাণিজ্যের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, এই মহাসড়ক One Belt One Road Initiative-এর (OBOR) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, যা চীনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতির অংশ। তবে এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধা হলো, এটি পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার কিছু নিরাপত্তা-ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য বিকল্প রুট তৈরি করবে। ফলে One Belt One Road Initiative-এর নিরবচ্ছিন্ন অগ্রযাত্রা আরও নিশ্চিত হবে।

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান এই প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। চীনের সঙ্গে সংযুক্ত এই নতুন সড়ক পথ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহজ হবে না। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রকল্পের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সবকিছু অনুকূলে থাকলে চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক: নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে

আপডেট সময় ১২:১৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

আফগানিস্তান শিগগিরই ওয়াখান করিডোর হয়ে একটি নতুন মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা এই করিডোর নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

এই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চীনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন সহজ হবে। এটি হবে এক নতুন বাণিজ্য পথ, যা চীনের বহির্বাণিজ্যের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, এই মহাসড়ক One Belt One Road Initiative-এর (OBOR) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করবে, যা চীনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতির অংশ। তবে এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধা হলো, এটি পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার কিছু নিরাপত্তা-ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য বিকল্প রুট তৈরি করবে। ফলে One Belt One Road Initiative-এর নিরবচ্ছিন্ন অগ্রযাত্রা আরও নিশ্চিত হবে।

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান এই প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। চীনের সঙ্গে সংযুক্ত এই নতুন সড়ক পথ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহজ হবে না। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রকল্পের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সবকিছু অনুকূলে থাকলে চীন-আফগানিস্তান সংযোগ সড়ক মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।