ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদে সময়সীমা নির্ধারণ করলো ইসি নির্বাচন পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চিরবিদায় নিলেন টিভি পর্দার জনপ্রিয় তারকা লনি অ্যান্ডারসন রাশিয়ায় আগুনের ভিডিও টিকটক করায় গ্রেপ্তার ৩ তরুণ-তরুণী গ্যাবনের কূটনীতিতে পরিবর্তন, তুরস্কের সঙ্গে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং মিশনে যাচ্ছেন তালহা জুবায়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে মানসিক চাপের পরিবর্তন: বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি “ইনজুরিতে ভুগছেন মেসি, কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার আশঙ্কা” পাটের রং-দামে খুশি কৃষক, বাড়ছে চাষের আগ্রহ

বাংলাদেশে হালাল পণ্যের আঞ্চলিক হাব গড়ার উদ্যোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / 10

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ হালাল পণ্য অমুসলিম দেশগুলো উৎপাদন করলেও আমাদের মতো মুসলিম-প্রধান দেশের জন্য এটি এক বড় সুযোগ। কার্যকর নীতিমালা ও সুসংগঠিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ খাতে আন্তর্জাতিকভাবে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারে।”

সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)। এতে অংশ নেন শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও হালাল অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। আলোচনায় উঠে আসে ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের হালাল শিল্প খাতের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কৌশল।

বিডা চেয়ারম্যান আরও বলেন, “হালাল পণ্য উৎপাদন এবং এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করতেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন এবং বলেন, “হালাল অর্থনীতির পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়ন অনিবার্য। এ ধরনের সহযোগিতা উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং টেকসই অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে।”

সেমিনারের শুরুতে বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “হালাল অর্থনীতি শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়— এটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান।

সেমিনারের একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমিনুল ইসলাম। তিনি তার উপস্থাপনায় হালাল অর্থনীতির বর্তমান চিত্র, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে হালাল পণ্যের আঞ্চলিক হাব গড়ার উদ্যোগ

আপডেট সময় ০১:০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

 

বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ হালাল পণ্য অমুসলিম দেশগুলো উৎপাদন করলেও আমাদের মতো মুসলিম-প্রধান দেশের জন্য এটি এক বড় সুযোগ। কার্যকর নীতিমালা ও সুসংগঠিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ খাতে আন্তর্জাতিকভাবে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারে।”

সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)। এতে অংশ নেন শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও হালাল অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। আলোচনায় উঠে আসে ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের হালাল শিল্প খাতের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কৌশল।

বিডা চেয়ারম্যান আরও বলেন, “হালাল পণ্য উৎপাদন এবং এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করতেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন এবং বলেন, “হালাল অর্থনীতির পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়ন অনিবার্য। এ ধরনের সহযোগিতা উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং টেকসই অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে।”

সেমিনারের শুরুতে বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “হালাল অর্থনীতি শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়— এটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান।

সেমিনারের একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমিনুল ইসলাম। তিনি তার উপস্থাপনায় হালাল অর্থনীতির বর্তমান চিত্র, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন।