ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

শ্রমিক দল কমিটি ঘিরে মাদারীপুরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা, আহত আরো ৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

মাদারীপুরে শ্রমিক দলের পৌর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রাণ গেল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুনশির (৩৩)। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নতুন মাদারীপুর এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন।

নিহত শাকিল মাদারীপুর শহরের নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুনশির ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মাদারীপুর পৌর শ্রমিক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করে জেলা কমিটি। এতে লিটন হাওলাদারকে সভাপতি করা হলে বিষয়টি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই লিটনকে আওয়ামীপন্থী অভিযোগ এনে কমিটি বাতিলের দাবি তোলেন।

রোববার দুপুরে কমিটি বাতিলের দাবিতে শহরের একটি সড়কে বিক্ষোভ করেন শাকিলপন্থী নেতাকর্মীরা। রাতের দিকে শাকিল তার অনুসারীদের নিয়ে বিসিক শিল্পনগরীতে এক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নতুন মাদারীপুর এলাকায় লিটন হাওলাদারের ভাতিজা আল আমিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল শাকিলের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শাকিল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

শাকিলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আরও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার পরপরই শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লিটন ও শাকিলপন্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হন আরও অন্তত তিনজন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

শাকিলের ভাই রনজু মুনশি অভিযোগ করে বলেন, “লিটনের বিতর্কিত নেতৃত্বের প্রতিবাদ করেছিল শাকিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিটন ও তার ভাতিজা আল আমিন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা বিচার চাই, ফাঁসি চাই।”

ঘটনার পর থেকে লিটন ও আল আমিন পলাতক। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রমিক দল কমিটি ঘিরে মাদারীপুরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা, আহত আরো ৫

আপডেট সময় ১০:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

মাদারীপুরে শ্রমিক দলের পৌর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রাণ গেল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুনশির (৩৩)। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নতুন মাদারীপুর এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন।

নিহত শাকিল মাদারীপুর শহরের নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুনশির ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মাদারীপুর পৌর শ্রমিক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করে জেলা কমিটি। এতে লিটন হাওলাদারকে সভাপতি করা হলে বিষয়টি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই লিটনকে আওয়ামীপন্থী অভিযোগ এনে কমিটি বাতিলের দাবি তোলেন।

রোববার দুপুরে কমিটি বাতিলের দাবিতে শহরের একটি সড়কে বিক্ষোভ করেন শাকিলপন্থী নেতাকর্মীরা। রাতের দিকে শাকিল তার অনুসারীদের নিয়ে বিসিক শিল্পনগরীতে এক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নতুন মাদারীপুর এলাকায় লিটন হাওলাদারের ভাতিজা আল আমিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল শাকিলের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শাকিল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

শাকিলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আরও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার পরপরই শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লিটন ও শাকিলপন্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হন আরও অন্তত তিনজন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

শাকিলের ভাই রনজু মুনশি অভিযোগ করে বলেন, “লিটনের বিতর্কিত নেতৃত্বের প্রতিবাদ করেছিল শাকিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিটন ও তার ভাতিজা আল আমিন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা বিচার চাই, ফাঁসি চাই।”

ঘটনার পর থেকে লিটন ও আল আমিন পলাতক। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”