জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে, ছেলেসহ অব্যাহতির সুপারিশ
- আপডেট সময় ১২:৪০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / 101
জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও তাঁর ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ মেলেনি। দুই বছর চার মাস তদন্ত শেষে তদন্ত সংস্থা সিটিটিসি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে।
২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। এক মাস আগে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তাঁর ছেলে ডা. রাফাত। পরে তাঁদের কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে দীর্ঘ তদন্ত শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সিটিটিসি তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার গত ৬ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও সাতজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে আছেন ডা. শফিকুর রহমান ও তাঁর ছেলে। আগামী ১৩ মে আদালতে এই অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা সবাই পূর্বপরিচিত এবং সিলেটের সবুজবাগ এলাকার জামে মসজিদে নামাজ পড়তেন। সেখানেই এক পর্যায়ে তানিম ও তাহিয়াত নামে দুই ব্যক্তি তাঁদের নাইক্ষ্যংছড়ির রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তদন্তে দেখা যায়, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন আরএসএ ও আরএসওর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে জিহাদে যোগ দেওয়া।
২০২১ সালের ১৮ জুন তানিম ও তাহিয়াত ডা. রাফাতসহ কয়েকজনকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি যান। পরে তাঁদের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ডা. রাফাত বিষয়টি তাঁর বাবা ডা. শফিকুর রহমানকে জানান। শফিকুর রহমান দ্রুত তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামুনুর রশিদের প্ররোচনায় তানিম ও তাঁর সহযোগীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। পরে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে তানিম, জাহিদ ও রিয়াজ গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জামায়াত আমির ও তাঁর ছেলের নাম বললেও তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডা. শফিকুর রহমানের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াত আমির ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দুই বছর পর হলেও সত্য প্রকাশিত হয়েছে।”



















