০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :

মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

সাজলুর রহমান,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর এলাকায় বাগানে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত কেয়ারটেকার বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের কদুপুরে সৈয়দ নাসিম আহমদের বাগানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত কেয়ারটেকার পাকু মিয়া (৭০)-র ছেলে সাব্বির আহমদ সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পাকু মিয়া ওই বাগানের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একি এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে সামছুল ইসলাম সোহান (২৫) বিভিন্ন সময়ে বাগানের গাছ কেটে নেওয়া ও ফিসারির মাছ ধরে নিয়ে যেতেন। এতে প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে পাকু মিয়ার একাধিকবার ঝগড়া ও বিবাদ হয়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সোহান।

ঘটনার দিন পাকু মিয়া পশ্চিম বাজারের মিতা স্যানিটারি থেকে বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার পথে কদুপুর ইসমাইল মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সোহান কয়েকজন সহযোগী নিয়ে তার ওপর দা’ দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কদুপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সোহান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এক পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। মোকামবাজারে তার একটি দোকান থাকলেও বর্তমানে তা আর নেই। বৃদ্ধ পাকু মিয়ার ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অভিযুক্তের মা স্বীকার করে বলেন, “শুনেছি আমার ছেলে পাকু মিয়াকে মেরেছে। তবে কেন মেরেছে জানি না। মামলা হওয়ার পর থেকে সে আর বাড়িতে আসছে না।”

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”

কদুপুরের সাধারণ মানুষ জানান, অভিযুক্ত সামছুল ইসলাম সোহান এলাকায় স্থায়ী না হওয়ায় তার আচরণ নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। একজন বৃদ্ধ মানুষকে কোপানোর ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি বাগান মালিক দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই পরিবারকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেয়ারটেকারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:২১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

সাজলুর রহমান,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর এলাকায় বাগানে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত কেয়ারটেকার বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের কদুপুরে সৈয়দ নাসিম আহমদের বাগানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত কেয়ারটেকার পাকু মিয়া (৭০)-র ছেলে সাব্বির আহমদ সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পাকু মিয়া ওই বাগানের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একি এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে সামছুল ইসলাম সোহান (২৫) বিভিন্ন সময়ে বাগানের গাছ কেটে নেওয়া ও ফিসারির মাছ ধরে নিয়ে যেতেন। এতে প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে পাকু মিয়ার একাধিকবার ঝগড়া ও বিবাদ হয়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সোহান।

ঘটনার দিন পাকু মিয়া পশ্চিম বাজারের মিতা স্যানিটারি থেকে বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার পথে কদুপুর ইসমাইল মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সোহান কয়েকজন সহযোগী নিয়ে তার ওপর দা’ দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কদুপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সোহান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এক পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। মোকামবাজারে তার একটি দোকান থাকলেও বর্তমানে তা আর নেই। বৃদ্ধ পাকু মিয়ার ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অভিযুক্তের মা স্বীকার করে বলেন, “শুনেছি আমার ছেলে পাকু মিয়াকে মেরেছে। তবে কেন মেরেছে জানি না। মামলা হওয়ার পর থেকে সে আর বাড়িতে আসছে না।”

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”

কদুপুরের সাধারণ মানুষ জানান, অভিযুক্ত সামছুল ইসলাম সোহান এলাকায় স্থায়ী না হওয়ায় তার আচরণ নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। একজন বৃদ্ধ মানুষকে কোপানোর ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি বাগান মালিক দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই পরিবারকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেয়ারটেকারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।