০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ময়মনসিংহে বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 146

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও তার দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তাদের কন্যা রাইসা (৪) এবং পুত্র নীরব (২)।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বাড়ির ভেতরে ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সকালে দীর্ঘ সময় বাড়ির কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়—ঘরের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তিনজনের নিথর দেহ। দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যেকের গলা কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতের কোনো এক সময় এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনের কারণ বা কারা জড়িত—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে ময়না বেগম ও তার দুই সন্তান ছাড়া কেউ থাকতেন না। নিহতদের স্বামী রফিক উদ্দিন কোথায় ছিলেন বা তার সঙ্গে শেষবার কবে যোগাযোগ হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এদিকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ময়না বেগম শান্ত স্বভাবের নারী ছিলেন এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। এমন ভয়ানক পরিণতির পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:২১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও তার দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তাদের কন্যা রাইসা (৪) এবং পুত্র নীরব (২)।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বাড়ির ভেতরে ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সকালে দীর্ঘ সময় বাড়ির কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়—ঘরের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তিনজনের নিথর দেহ। দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যেকের গলা কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতের কোনো এক সময় এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনের কারণ বা কারা জড়িত—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে ময়না বেগম ও তার দুই সন্তান ছাড়া কেউ থাকতেন না। নিহতদের স্বামী রফিক উদ্দিন কোথায় ছিলেন বা তার সঙ্গে শেষবার কবে যোগাযোগ হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এদিকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ময়না বেগম শান্ত স্বভাবের নারী ছিলেন এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। এমন ভয়ানক পরিণতির পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।