সোহাগ হত্যাকাণ্ড বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

- আপডেট সময় ১১:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 7
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মানবিকতা ও নৈতিকতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি বলেন, “আমি ভিডিওটি দেখতে পারিনি, এক পর্যায়ে দেখে আর সহ্য করতে পারিনি। এমন নৃশংসতা বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ঙ্কর।”
তিনি প্রশ্ন রাখেন, “প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটলেও কেউ এগিয়ে এলো না কেন? মাত্র ১০০ গজ দূরেই আনসার ক্যাম্প ছিল। তারা তখন কী করছিল? দেশে একটা সরকার আছে, নির্বাচিত হোক বা না হোক। সেই সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তাহলে তারা কী করল?”
তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “এই উপদেষ্টা ম্যাগাজিনকে চশমা বা মোবাইল মনে করেন। গুলি তার কাছে হার্মলেস কিছু! তিনি শুরু থেকেই তার ব্যর্থতা দেখিয়েছেন। ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে দেশে ১৩০০-এর বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যেখানে আগের বছরগুলোতে এই সংখ্যা ছিল অনেক কম।”
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, “গত নয় মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে গেছে। একের পর এক মাজার ভাঙা, নারী ফুটবলারদের বাধা দেওয়া, পোশাক নিয়ে পুলিশিং, সাবেক এমপি বা নেতার স্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা এসব আমরা সবাই দেখেছি। কিন্তু কয়টি ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”
তিনি বলেন, “ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে কারা সোহাগকে হত্যা করেছে। তাহলে সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? সাধারণত আগ্নেয়াস্ত্র দেখলে মানুষ ভয় পায়, কিন্তু ইট-পাথর হাতে থাকা অপরাধীদের নিয়েই মানুষ কেন ভয় পাচ্ছে? কে ভয় দেখাচ্ছে? সরকার কেন ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত খুনিকে গ্রেপ্তার করছে না?”
রুমিন অভিযোগ করে বলেন, “তারেক রহমান নিজে বলেছেন, যাকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাকে যেন প্রথম আসামি করা হয়। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করলে বহু গোপন তথ্য প্রকাশ হয়ে যাবে এটাই সরকারের ভয়। বিএনপিকে দমন করতেই সরকার এই মব সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আজকে মূল আসামিরা ধরা না পড়লেও, একদিন দেশের জনগণ এর মূল্য দেবে।”