০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৬ জুলাই) গভীর রাতে পৌর এলাকার এই গ্রামে দুষ্কৃতকারীরা পরিবারের সদস্যদের খাবার বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটায়। এতে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোটরসাইকেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়িতে দিনভর কোনো এক সময়ে খাবার বা পানির মধ্যে বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয় চোরেরা। পরে রাতে আব্দুর রহমান, তার স্ত্রী শিউলি আক্তারসহ পরিবারের সবাই রাতের খাবার শেষে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন।

রাতের কোনো এক সময় দুষ্কৃতকারীরা ঘরের মেইন গেটের তালা খুলে প্রবেশ করে আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের তালা ভেঙে ড্রয়ারে রাখা পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ আড়াই লাখ টাকা এবং একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, মোটরসাইকেলের বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শিউলি আক্তার জানান, ‘রবিবার সকালে নাশতার পর থেকেই পরিবারের সবার শরীরে অস্বস্তি ও ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছিল। আমি নিজেও বমি করেছি। রাতে খাবারের পর সবাই এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুম ভাঙার পর দেখি আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ার খোলা, ঘরের সবকিছু এলোমেলো। খুঁজতে গিয়ে দেখি আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং মেঝেতে রাখা মোটরসাইকেলটি নেই। ঘরের দরজাও বাইরে থেকে আটকানো ছিল।’

এ ঘটনায় পুরো পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় এরকম ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

আপডেট সময় ০৮:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৬ জুলাই) গভীর রাতে পৌর এলাকার এই গ্রামে দুষ্কৃতকারীরা পরিবারের সদস্যদের খাবার বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটায়। এতে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোটরসাইকেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়িতে দিনভর কোনো এক সময়ে খাবার বা পানির মধ্যে বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয় চোরেরা। পরে রাতে আব্দুর রহমান, তার স্ত্রী শিউলি আক্তারসহ পরিবারের সবাই রাতের খাবার শেষে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন।

রাতের কোনো এক সময় দুষ্কৃতকারীরা ঘরের মেইন গেটের তালা খুলে প্রবেশ করে আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের তালা ভেঙে ড্রয়ারে রাখা পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ আড়াই লাখ টাকা এবং একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, মোটরসাইকেলের বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শিউলি আক্তার জানান, ‘রবিবার সকালে নাশতার পর থেকেই পরিবারের সবার শরীরে অস্বস্তি ও ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছিল। আমি নিজেও বমি করেছি। রাতে খাবারের পর সবাই এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুম ভাঙার পর দেখি আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ার খোলা, ঘরের সবকিছু এলোমেলো। খুঁজতে গিয়ে দেখি আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং মেঝেতে রাখা মোটরসাইকেলটি নেই। ঘরের দরজাও বাইরে থেকে আটকানো ছিল।’

এ ঘটনায় পুরো পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় এরকম ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।