০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

 

চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, আন্দোলনকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

সংঘর্ষের সময় পুলিশের চারজন সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় গিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।”

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর গণমাধ্যমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় এনে মব তৈরি করে তাকে মারধর করছিল। একপর্যায়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় এবং তিন-চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।”

তবে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে জানতে চাইলে ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০

আপডেট সময় ১১:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, আন্দোলনকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

সংঘর্ষের সময় পুলিশের চারজন সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় গিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।”

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর গণমাধ্যমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় এনে মব তৈরি করে তাকে মারধর করছিল। একপর্যায়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় এবং তিন-চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।”

তবে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে জানতে চাইলে ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।