১১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

হাজারীবাগে পারিবারিক কলহে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুত্র খুন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

 

রাজধানীর হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে রাহাবুল ইসলাম রাসেল (১৬) নামে এক কিশোর। শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল একটি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করতো।

রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়। ঢাকায় ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের ওই বাসার নিচ তলায় রাসেল তার বাবা জুয়েল রানার সঙ্গে ভাড়া থাকতো। মা শাহনাজ বেগম কর্মসূত্রে জর্ডানে অবস্থান করছেন।

হুমায়ুন বলেন, “রাত ১১টার দিকে জুয়েল রানা নিজেই আমাদের ফোন করে জানায়, সে তার ছেলে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে এবং তার অবস্থা ভালো না। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত রাসেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।”

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ। বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদরাসা ছাত্র—তারা গ্রামে থাকেন। রাসেলের মা সম্প্রতি তাকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিলেন। তবে রাসেলের পরিবর্তে জুয়েল রানা নিজেই বিদেশ যেতে চাইছিলেন। এতে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। প্রবাসে না নিলে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি ও দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দিতেন জুয়েল। এই নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

পরিবারের ধারণা, এই দ্বন্দ্বের জেরে রাগের বসে নিজ ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন জুয়েল রানা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “স্বজনরা কিশোর রাসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাবা জুয়েল রানা পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাজারীবাগে পারিবারিক কলহে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুত্র খুন

আপডেট সময় ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

 

 

রাজধানীর হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে রাহাবুল ইসলাম রাসেল (১৬) নামে এক কিশোর। শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল একটি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করতো।

রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়। ঢাকায় ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের ওই বাসার নিচ তলায় রাসেল তার বাবা জুয়েল রানার সঙ্গে ভাড়া থাকতো। মা শাহনাজ বেগম কর্মসূত্রে জর্ডানে অবস্থান করছেন।

হুমায়ুন বলেন, “রাত ১১টার দিকে জুয়েল রানা নিজেই আমাদের ফোন করে জানায়, সে তার ছেলে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে এবং তার অবস্থা ভালো না। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত রাসেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।”

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ। বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদরাসা ছাত্র—তারা গ্রামে থাকেন। রাসেলের মা সম্প্রতি তাকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিলেন। তবে রাসেলের পরিবর্তে জুয়েল রানা নিজেই বিদেশ যেতে চাইছিলেন। এতে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। প্রবাসে না নিলে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি ও দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দিতেন জুয়েল। এই নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

পরিবারের ধারণা, এই দ্বন্দ্বের জেরে রাগের বসে নিজ ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন জুয়েল রানা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “স্বজনরা কিশোর রাসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাবা জুয়েল রানা পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।