ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

টেকনাফে নেচার পার্কের পুকুরে বস্তাবন্দি গ্রেনেড, গুলি ও মদ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে নেচার পার্কের একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য। শনিবার (৩১ মে) সকালে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব উদ্ধার হয়।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়াস্থ নেচার পার্কে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি দল অংশ নেয়।

তিনি বলেন, পার্কের ভেতরে একটি পুকুরে ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশির পর পানির নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি প্যাকেট শনাক্ত করা হয়। বস্তাটি তুলে খোলার পর দেখা যায়, এর ভেতরে রয়েছে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি গ্রেনেডের ডেটোনেটর, ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ২ লিটার দেশীয় বাংলা মদ।

ঘটনাস্থলে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক, গুলি ও মাদকের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি আরও বলেন, দেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক টহল চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এসব এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সফল হয়েছে।

অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং পাচার রোধে ভবিষ্যতেও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই পার্কের কিছু নির্জন এলাকাকে অপরাধীরা গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফে নেচার পার্কের পুকুরে বস্তাবন্দি গ্রেনেড, গুলি ও মদ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফে নেচার পার্কের একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য। শনিবার (৩১ মে) সকালে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব উদ্ধার হয়।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়াস্থ নেচার পার্কে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি দল অংশ নেয়।

তিনি বলেন, পার্কের ভেতরে একটি পুকুরে ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশির পর পানির নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি প্যাকেট শনাক্ত করা হয়। বস্তাটি তুলে খোলার পর দেখা যায়, এর ভেতরে রয়েছে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি গ্রেনেডের ডেটোনেটর, ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ২ লিটার দেশীয় বাংলা মদ।

ঘটনাস্থলে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক, গুলি ও মাদকের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি আরও বলেন, দেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক টহল চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এসব এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সফল হয়েছে।

অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং পাচার রোধে ভবিষ্যতেও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই পার্কের কিছু নির্জন এলাকাকে অপরাধীরা গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।