ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসিসহ আহত ৩০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 28

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের চানমনিপাড়া ও মোঘলটুলা গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ইটের আঘাতে আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশাররফ হোসাইন এবং ওসি রফিকুল হাসান।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে মোবাইল ফোনের চার্জার কেনাবেচা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনার সূচনা হয়। সেই ঘটনার রেশ থেকেই চলমান উত্তেজনা গতকাল নতুন করে ভয়াবহ রূপ নেয়।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে, যখন চানমনিপাড়া গ্রামের হালিমা বেগম (৪২) ও তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) চাল ভাঙাতে যান একটি স্থানীয় চালকলে। সেখানে মোঘলটুলা গ্রামের তরুণ তৌহিদ মিয়া (২০) হালিমা বেগমকে কটূক্তি করলে তাঁর ছেলে প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়, যা পরে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়।

রাত ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অনেকের হাতে ছিল টর্চলাইট। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইউএনও মোশাররফ হোসাইন, ওসি রফিকুল হাসান ও পুলিশের একটি দল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইটের আঘাতে ইউএনও আহত হন। ওসি রফিকুল হাসান রাত ১০টার দিকে গুরুতরভাবে আহত হন। তাঁর চোখের ওপরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, ওসি গুরুতর আহত হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, “কয়েক দিন আগেও সরাইলে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এই ধরনের সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনের পক্ষে বিষয়টি উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসিসহ আহত ৩০

আপডেট সময় ১২:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের চানমনিপাড়া ও মোঘলটুলা গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ইটের আঘাতে আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশাররফ হোসাইন এবং ওসি রফিকুল হাসান।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে মোবাইল ফোনের চার্জার কেনাবেচা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনার সূচনা হয়। সেই ঘটনার রেশ থেকেই চলমান উত্তেজনা গতকাল নতুন করে ভয়াবহ রূপ নেয়।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে, যখন চানমনিপাড়া গ্রামের হালিমা বেগম (৪২) ও তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) চাল ভাঙাতে যান একটি স্থানীয় চালকলে। সেখানে মোঘলটুলা গ্রামের তরুণ তৌহিদ মিয়া (২০) হালিমা বেগমকে কটূক্তি করলে তাঁর ছেলে প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়, যা পরে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়।

রাত ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অনেকের হাতে ছিল টর্চলাইট। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইউএনও মোশাররফ হোসাইন, ওসি রফিকুল হাসান ও পুলিশের একটি দল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইটের আঘাতে ইউএনও আহত হন। ওসি রফিকুল হাসান রাত ১০টার দিকে গুরুতরভাবে আহত হন। তাঁর চোখের ওপরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, ওসি গুরুতর আহত হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, “কয়েক দিন আগেও সরাইলে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এই ধরনের সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনের পক্ষে বিষয়টি উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছে।”