০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।