১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।