ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভারতের মণিপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে কুকি জনগোষ্ঠীর ৪ জন নিহত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দে কোনো কার্পণ্য হবে না: অর্থ উপদেষ্টা জুলাই থেকে কক্সবাজারে চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিএনপি ধরে নিয়েছে তারা ক্ষমতায় গিয়ে আগের মতো অপকর্ম চালাবে: জামায়াত নায়েবে আমির ফোনালাপ বিতর্কে সাময়িক বরখাস্ত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জুলাই আন্দোলনের মূল মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ দূর করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া: প্রধান উপদেষ্টা ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু, নিখোঁজ আরও ২ শিশু যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের বারান্দা ধসে দুই ইঞ্জিনিয়ারসহ নিহত ৩ অবশেষে পরীক্ষায় বসলেন আনিসা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করেই ছাড়ব: আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার, যার মধ্যে ক্যাডার কর্মকর্তা আছেন ৬ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সম্পদের হিসাব মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। তবে, যারা সম্পদ বিবরণী জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়, এবং নির্ধারিত সময়সীমার কয়েকটি বাড়ানোর পর, শেষ সময় ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। এখন পর্যন্ত ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও, কতজন কর্মচারী তাদের হিসাব জমা দিয়েছেন, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে।

মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা ৬৭ হাজার ৯৩১, এর মধ্যে ক্যাডার কর্মকর্তা ৬ হাজার ৫৩৯ জন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংখ্যা ৫ হাজার ৯৫১, এবং জেলা প্রশাসনসহ ৫৩ হাজার ২৫১ কর্মচারী আছেন। উল্লেখযোগ্য যে, ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়বদ্ধ, তবে অন্যদের নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়ার কথা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। তবে, যাঁরা জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার অফিস এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কর্মচারী তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন। তবে, সেগুলোর পরিমাণ এখনও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।

পঞ্চগড়ের ডিসি সাবেত আলী এবং শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমানও একই মত প্রকাশ করেছেন, এবং তাদের অফিসে জমা দেওয়া বিবরণী সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তারা বলেন, যারা জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ০৩:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার, যার মধ্যে ক্যাডার কর্মকর্তা আছেন ৬ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সম্পদের হিসাব মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। তবে, যারা সম্পদ বিবরণী জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়, এবং নির্ধারিত সময়সীমার কয়েকটি বাড়ানোর পর, শেষ সময় ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। এখন পর্যন্ত ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও, কতজন কর্মচারী তাদের হিসাব জমা দিয়েছেন, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে।

মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা ৬৭ হাজার ৯৩১, এর মধ্যে ক্যাডার কর্মকর্তা ৬ হাজার ৫৩৯ জন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংখ্যা ৫ হাজার ৯৫১, এবং জেলা প্রশাসনসহ ৫৩ হাজার ২৫১ কর্মচারী আছেন। উল্লেখযোগ্য যে, ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়বদ্ধ, তবে অন্যদের নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়ার কথা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। তবে, যাঁরা জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার অফিস এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কর্মচারী তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন। তবে, সেগুলোর পরিমাণ এখনও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।

পঞ্চগড়ের ডিসি সাবেত আলী এবং শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমানও একই মত প্রকাশ করেছেন, এবং তাদের অফিসে জমা দেওয়া বিবরণী সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তারা বলেন, যারা জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।