ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের পর ভারতে বিপাকে পড়লেন নৃত্যশিল্পী নোয়েল নাটোরের বনপাড়ায় সেনা অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার। যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন বাতিল কানাডার ফিলিস্তিন সিদ্ধান্তের জবাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক প্রতিশোধ ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা বাংলাদেশের শুল্ক আলোচনায় কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন ড্যানিলোভিচ সেনবাগ থানা পুলিশের অভিযানে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ রংপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল

যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন বাতিল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

শুনানিতে খায়রুল হকের পক্ষে তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে গত ২৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনাটি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাইয়ের, অথচ প্রায় এক বছর পর, চলতি বছরের ৬ জুলাই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতদিন পর মামলা দায়েরের কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই।”

আইনজীবী আরও বলেন, ঘটনার দিন খায়রুল হক তার কর্মস্থল আইন কমিশনে দায়িত্ব পালন শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসায় ফিরে যান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি যাননি। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদের ওপর গুলি, ধারালো অস্ত্র এবং টিআর শেল-সাউন্ড বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহাদ কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে পড়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, এরপর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন তার দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আহাদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রায় এক বছর পর, গত ৬ জুলাই নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং আরও এক থেকে দুই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ বি এম খায়রুল হক এজাহারে ৪৪ নম্বর আসামি হিসেবে নাম ওঠে।

প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই এ বি এম খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার মেয়াদ কয়েক দফা নবায়ন করা হয়। তবে গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন বাতিল

আপডেট সময় ০২:৫৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

 

 

যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

শুনানিতে খায়রুল হকের পক্ষে তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে গত ২৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনাটি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাইয়ের, অথচ প্রায় এক বছর পর, চলতি বছরের ৬ জুলাই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতদিন পর মামলা দায়েরের কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই।”

আইনজীবী আরও বলেন, ঘটনার দিন খায়রুল হক তার কর্মস্থল আইন কমিশনে দায়িত্ব পালন শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসায় ফিরে যান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি যাননি। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদের ওপর গুলি, ধারালো অস্ত্র এবং টিআর শেল-সাউন্ড বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহাদ কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে পড়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, এরপর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন তার দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আহাদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রায় এক বছর পর, গত ৬ জুলাই নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং আরও এক থেকে দুই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ বি এম খায়রুল হক এজাহারে ৪৪ নম্বর আসামি হিসেবে নাম ওঠে।

প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই এ বি এম খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার মেয়াদ কয়েক দফা নবায়ন করা হয়। তবে গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।