০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

চাঁদাবাজি নয়, টাকার লেনদেনের বিরোধেই খুন হন সোহাগ: পুলিশের তদন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছে দুইজন এবং পুলিশের হাতে তিনজন। হত্যার মূল কারণ হিসেবে ভাঙারি দোকানের নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে দায়ী করছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মামলাটির তদন্তে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা করা হচ্ছে না। আমাদের কাছে অপরাধই মুখ্য বিষয়। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, মিটফোর্ড এলাকায় একটি ভাঙারি দোকানের অংশীদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই পরিকল্পিতভাবে সোহাগকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মিলেছে।

ডিসি জসিম বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। শুরু থেকেই আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত পরিচালনা করছি। মামলাটি নিতে পুলিশ অনীহা দেখিয়েছে এমন অভিযোগ সঠিক নয়।”
তিনি আরও জানান, “সোহাগের অতীত কর্মকাণ্ডও আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তার পূর্বের কোনো ঘটনার সঙ্গে হত্যার সংযোগ থাকে, তাও আমলে নেওয়া হবে।”

এ পর্যায়ে চাঁদাবাজির কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডটি মূলত পারস্পরিক ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও আর্থিক লেনদেন ঘিরেই সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যবসাকেন্দ্রিক এলাকাগুলোর মধ্যে মিটফোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানকার নানা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে প্রভাব বিস্তার ও বিরোধের ঘটনা নতুন নয়। তবে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, অপরাধীদের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁদাবাজি নয়, টাকার লেনদেনের বিরোধেই খুন হন সোহাগ: পুলিশের তদন্ত

আপডেট সময় ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছে দুইজন এবং পুলিশের হাতে তিনজন। হত্যার মূল কারণ হিসেবে ভাঙারি দোকানের নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে দায়ী করছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মামলাটির তদন্তে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা করা হচ্ছে না। আমাদের কাছে অপরাধই মুখ্য বিষয়। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, মিটফোর্ড এলাকায় একটি ভাঙারি দোকানের অংশীদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই পরিকল্পিতভাবে সোহাগকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মিলেছে।

ডিসি জসিম বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। শুরু থেকেই আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত পরিচালনা করছি। মামলাটি নিতে পুলিশ অনীহা দেখিয়েছে এমন অভিযোগ সঠিক নয়।”
তিনি আরও জানান, “সোহাগের অতীত কর্মকাণ্ডও আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তার পূর্বের কোনো ঘটনার সঙ্গে হত্যার সংযোগ থাকে, তাও আমলে নেওয়া হবে।”

এ পর্যায়ে চাঁদাবাজির কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডটি মূলত পারস্পরিক ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও আর্থিক লেনদেন ঘিরেই সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যবসাকেন্দ্রিক এলাকাগুলোর মধ্যে মিটফোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানকার নানা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে প্রভাব বিস্তার ও বিরোধের ঘটনা নতুন নয়। তবে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, অপরাধীদের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।