০৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 131

ছবি সংগৃহীত

 

 

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ১১ টুকরো করে গুমের চেষ্টা করেন স্বামী মো. সুমন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সুমনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তার করে।”

গ্রেপ্তার সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় সুমন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় পড়ে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম শহরে একটি পিকআপ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।

তবে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্য অশান্তি চরমে ওঠে। বিষয়টি একাধিকবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বিরোধ চলমান থাকে।

র‌্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৬-৭ জন যুবকের বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফাতেমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে তিনি মরদেহ ১১ টুকরো করে ফ্ল্যাশের মাধ্যমে কমোডে নিক্ষেপের চেষ্টা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরপরই সুমন পলাতক ছিলেন। তবে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ড চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ১১ টুকরো করে গুমের চেষ্টা করেন স্বামী মো. সুমন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সুমনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তার করে।”

গ্রেপ্তার সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় সুমন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় পড়ে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম শহরে একটি পিকআপ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।

তবে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্য অশান্তি চরমে ওঠে। বিষয়টি একাধিকবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বিরোধ চলমান থাকে।

র‌্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৬-৭ জন যুবকের বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফাতেমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে তিনি মরদেহ ১১ টুকরো করে ফ্ল্যাশের মাধ্যমে কমোডে নিক্ষেপের চেষ্টা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরপরই সুমন পলাতক ছিলেন। তবে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ড চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।