ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪ ইরান ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে বিজয় অর্জন করেছে: সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জুলাই ‘পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি বাতিল: সংস্কৃতি উপদেষ্টা সিরিয়া-ইসরাইল শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা, সৌদি-মার্কিন তৎপরতায় নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ কারাগার থেকে আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের, পাকিস্তানে ফের উত্তেজনা ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ নারী দল রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া: ইউক্রেনের গোয়েন্দা দাবি পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার নদীয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু কলম্বোতে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার হার টাইগারদের

টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে ৯০ হাজার ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক ৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করেছে। পৃথক দুটি অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিজিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩০ জুন) গভীর রাতে ২ বিজিবির অধিনায়ক গোপন সূত্রে খবর পান যে মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। খবর পেয়ে বিজিবি নাফ নদী, তীরবর্তী এলাকা এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে বিশেষ নজরদারি ও টহল জোরদার করে।

পরে মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোররাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকায় এক গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৯০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় দুজনকে আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা হলেন আলীর ডেইল এলাকার বাসিন্দা মিনারা বেগম (৩৫) ও মো. কেফায়েত উল্লাহ (১৯)।

একইদিন টেকনাফের খুরেরমুখ এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জমিলা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। জানা যায়, তার বাড়ির মুরগির খামারে এসব গাঁজা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আটকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “মাদক ও চোরাচালান দমনে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনস্বার্থে আমাদের এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে। তবে প্রায়ই নতুন নতুন পদ্ধতিতে মাদক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। সীমান্ত এলাকার মানুষকে মাদকবিরোধী সচেতনতায় অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে বিজিবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে ৯০ হাজার ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক ৩

আপডেট সময় ১০:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করেছে। পৃথক দুটি অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিজিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩০ জুন) গভীর রাতে ২ বিজিবির অধিনায়ক গোপন সূত্রে খবর পান যে মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। খবর পেয়ে বিজিবি নাফ নদী, তীরবর্তী এলাকা এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে বিশেষ নজরদারি ও টহল জোরদার করে।

পরে মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোররাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকায় এক গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৯০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় দুজনকে আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা হলেন আলীর ডেইল এলাকার বাসিন্দা মিনারা বেগম (৩৫) ও মো. কেফায়েত উল্লাহ (১৯)।

একইদিন টেকনাফের খুরেরমুখ এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জমিলা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। জানা যায়, তার বাড়ির মুরগির খামারে এসব গাঁজা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আটকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “মাদক ও চোরাচালান দমনে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনস্বার্থে আমাদের এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে। তবে প্রায়ই নতুন নতুন পদ্ধতিতে মাদক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। সীমান্ত এলাকার মানুষকে মাদকবিরোধী সচেতনতায় অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে বিজিবি।