ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১ জুন রোববার এই অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে অভিযোগের শুনানি সরাসরি সম্প্রচারেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচারও করা হয়েছে।

জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে দায়ী করে গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালে একটি প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। সেই ঘটনার সাথেই জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত একটি সেমিনারে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত যেসব গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, সেগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।”

এই মামলার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সেমিনারেও উঠে আসে বিষয়টি। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিচালিত হবে এবং জনগণ যেন বিচার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে পারে সেজন্যই সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। যদিও শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আসন্ন শুনানিকে ঘিরে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আজ

আপডেট সময় ১০:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১ জুন রোববার এই অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে অভিযোগের শুনানি সরাসরি সম্প্রচারেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচারও করা হয়েছে।

জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে দায়ী করে গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালে একটি প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। সেই ঘটনার সাথেই জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত একটি সেমিনারে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত যেসব গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, সেগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।”

এই মামলার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সেমিনারেও উঠে আসে বিষয়টি। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিচালিত হবে এবং জনগণ যেন বিচার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে পারে সেজন্যই সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। যদিও শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আসন্ন শুনানিকে ঘিরে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।