০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মোংলায় জাহাজে নজিরবিহীন ডাকাতি: ইঞ্জিনিয়ার ও মালামালসহ গ্রেপ্তার ৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 77

ছবি: সংগৃহীত

 

বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলে নোঙর করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজে পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনায় জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় লুট হওয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশের একটি অংশও উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হক, পেশাদার ডাকাত সুমন হাওলাদার (২১) এবং ডাকাতির মালামাল ক্রেতা মো. সুমন হোসেন (৩০)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে মোংলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৬ মে) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে পশুর চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটিতে সশস্ত্র ডাকাত দল হামলা চালায়। তারা ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস, বিভিন্ন ধরনের বিয়ারিং, ব্যাটারি ও চার্জারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়।

তদন্তে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় জাহাজের নাবিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ সুযোগে প্রধান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক স্থানীয় চক্রের সহায়তায় একটি সাজানো ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ডাকাত দলের মাধ্যমে মালামাল লুটিয়ে পরে তা বিক্রির মাধ্যমে লাভ ভাগাভাগির চক্রান্তে যুক্ত হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, “এটি নিছক ডাকাতি নয়, বরং জাহাজের ভেতর থেকে সংঘটিত একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মালামাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটক তিনজনকে মোংলা থানায় সোপর্দ করা হবে।

কোস্টগার্ড আরও জানায়, জাহাজটির বেশিরভাগ নাবিক বিগত ছয় থেকে সাত মাস ধরে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা এবং মালিক পক্ষের অবহেলাই ডাকাতির ঘটনার অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জাহাজ মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোংলায় জাহাজে নজিরবিহীন ডাকাতি: ইঞ্জিনিয়ার ও মালামালসহ গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় ১০:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলে নোঙর করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজে পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনায় জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় লুট হওয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশের একটি অংশও উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হক, পেশাদার ডাকাত সুমন হাওলাদার (২১) এবং ডাকাতির মালামাল ক্রেতা মো. সুমন হোসেন (৩০)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে মোংলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৬ মে) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে পশুর চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটিতে সশস্ত্র ডাকাত দল হামলা চালায়। তারা ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস, বিভিন্ন ধরনের বিয়ারিং, ব্যাটারি ও চার্জারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়।

তদন্তে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় জাহাজের নাবিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ সুযোগে প্রধান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক স্থানীয় চক্রের সহায়তায় একটি সাজানো ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ডাকাত দলের মাধ্যমে মালামাল লুটিয়ে পরে তা বিক্রির মাধ্যমে লাভ ভাগাভাগির চক্রান্তে যুক্ত হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, “এটি নিছক ডাকাতি নয়, বরং জাহাজের ভেতর থেকে সংঘটিত একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মালামাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটক তিনজনকে মোংলা থানায় সোপর্দ করা হবে।

কোস্টগার্ড আরও জানায়, জাহাজটির বেশিরভাগ নাবিক বিগত ছয় থেকে সাত মাস ধরে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা এবং মালিক পক্ষের অবহেলাই ডাকাতির ঘটনার অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জাহাজ মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।