ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু আছিয়ার হত্যার মামলা: রায় আজ, জনগণের প্রতীক্ষা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি: সংগৃহীত

 

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায় আজ শনিবার (১৭ মে) ঘোষণা হতে যাচ্ছে। এই আলোচিত মামলার বিচার কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করে রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত, মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মধ্যে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান। মামলার পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৭ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়, যখন শিশুটির ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা দুই চিকিৎসক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আছিয়া, যিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটি ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ হিটু শেখ, জাহেদা বেগম, সজিব শেখ ও রাতুল শেখকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত চার আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন এবং ২০ এপ্রিল বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চার্জগঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন। চার্জ গঠনের পর ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা ৭ মে শেষ হয়।

বিচার চলাকালে মূল আসামি হিটু শেখ আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেও তিনি ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

৬ মার্চ শিশুটির ধর্ষণের খবর প্রকাশ হলে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সড়ক অবরোধ ও থানায় অভিযান চালিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন। স্থানীয় আইনজীবীরা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন এবং আসামিপক্ষকে আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকারও মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবীকে সহায়তা করতে স্পেশাল প্রসিকিউটার অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে নিযুক্ত করেছে। মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু আছিয়ার হত্যার মামলা: রায় আজ, জনগণের প্রতীক্ষা

আপডেট সময় ১০:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

 

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায় আজ শনিবার (১৭ মে) ঘোষণা হতে যাচ্ছে। এই আলোচিত মামলার বিচার কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করে রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত, মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মধ্যে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান। মামলার পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৭ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়, যখন শিশুটির ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা দুই চিকিৎসক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আছিয়া, যিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটি ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ হিটু শেখ, জাহেদা বেগম, সজিব শেখ ও রাতুল শেখকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত চার আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন এবং ২০ এপ্রিল বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চার্জগঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন। চার্জ গঠনের পর ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা ৭ মে শেষ হয়।

বিচার চলাকালে মূল আসামি হিটু শেখ আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেও তিনি ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

৬ মার্চ শিশুটির ধর্ষণের খবর প্রকাশ হলে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সড়ক অবরোধ ও থানায় অভিযান চালিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন। স্থানীয় আইনজীবীরা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন এবং আসামিপক্ষকে আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকারও মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবীকে সহায়তা করতে স্পেশাল প্রসিকিউটার অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে নিযুক্ত করেছে। মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়।