অপহরণের প্রকোপ: চার মাসে ৩০২ অপহরণ, উদ্বেগ-আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
দেশজুড়ে অপহরণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শিশু, কিশোর কেউ-ই রেহাই পাচ্ছে না এই অপরাধচক্রের হাত থেকে। মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে, এমনকি টাকা পেলেও নির্মম হত্যার শিকার হচ্ছে অনেক ভুক্তভোগী।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে ৬৪২টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে শেষ চার মাসেই হয়েছে ৩০২টি। এর আগের বছর দেশে অপহরণের সংখ্যা ছিল ৪৬৩টি। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীতে অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরে সেখানে ১৩২টি অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৬১টি।
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, অপহরণের মূল কারণ রাজনৈতিক বিরোধ, ব্যক্তিগত শত্রুতা, আর্থসামাজিক সংকট ও হতাশা। কিছু অপরাধী গোষ্ঠী অপহরণকে আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, “যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের সময় অপরাধের ধরন একরকম হয়। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সরকার পরিবর্তনের পর অপরাধচিত্র ভিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে আমরা অপরাধ কমার প্রত্যাশা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন।”
এদিকে, পুলিশের দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সর্বোচ্চ তৎপর। পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, “অপরাধের সংখ্যা ওঠানামা করে, তবে পুলিশ সবসময় তৎপর। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “সাম্প্রতিক অপহরণের প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী উদ্ধারে আমাদের বিশেষ দল কাজ করছে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।