গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া ছবি ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ: প্রেস উইং

- আপডেট সময় ১১:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / 10
গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ অনলাইন চক্র বিভ্রান্তিকর ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি ছড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৬ জুলাই বুধবার এক বিবৃতিতে প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক বিভাগ জানায়, গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একাধিক নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল সেদিনের ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যা দেওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সুপরিকল্পিত প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগপন্থিরা বিভিন্ন পুরনো ছবি ছড়িয়ে তা গোপালগঞ্জের সহিংসতার দৃশ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা এস এম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ জনগণকে আক্রমণ করেছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, পেছনে আগুন জ্বলছে, রাস্তায় উত্তেজিত জনতা, আর এক কিশোরকে আহত অবস্থায় বহন করা হচ্ছে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে—ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের এক ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি widely circulated ছবিতে দেখা যায়, ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি করছেন। তবে প্রেস উইং জানায়, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের।
জাকির হোসেন আরও একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তবে সেটিও ২০২৩ সালের ২০ মার্চের একটি ভিন্ন ঘটনার ছবি বলে নিশ্চিত করেছে প্রেস উইং।
এছাড়া, একটি শিশুর ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয় সে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে অংশ নিয়েছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে ছবিটি গাজীপুরের সফিপুরে ধারণ করা ভিডিও থেকে নেওয়া এবং ২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছিল।
প্রেস উইংয়ের দাবি, এসব ভুয়া ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এমনকি সেনাবাহিনীকে নিয়েও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার শিকার হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের অংশের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হন এবং একাধিক সরকারি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ওই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়। প্রেস উইং অভিযোগ করেছে, বাস্তব ঘটনার বিপরীতে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়েছে।