রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

- আপডেট সময় ১১:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / 8
রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১২টার পর এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া ১২টার দিকে গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীত পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন কামরুল আহসান সাধন। এসময় মুখে মাস্ক পরা দুজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ এসে খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেলে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কামরুল আহসানের বুক, পিঠ ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তি গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং তিনি পেশায় ডিশ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পরপরই গুলশান ও বাড্ডা থানার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। ওসি বলেন, “আমরা ঘটনার মোটিভ বের করার চেষ্টা করছি এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ব্যবসায়িক বিরোধ না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আসলে কী রয়েছে তা জানতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গভীরভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং স্বজনদের আহাজারিতে গোটা এলাকা শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। নিহত কামরুল আহসান সাধনের মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মীরাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।