ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

নথি জটিলতায় বিলম্বিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের বিচার, জামিনের অপেক্ষায় ৩০০ সাবেক বিডিআর সদস্য

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর আজ, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আদালত রায় দেবেন। এর আগে, কেরানিগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান নিয়েছেন, যারা রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়, তবে আদালত আদেশ পরে দেওয়ার কথা জানান। এর আগে, ২৩ জানুয়ারি ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পায় ১৬৮ বিডিআর সদস্য।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় বর্তমানে ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে প্রায় আড়াইশ জন জামিন পেয়েছেন। তবে, বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মামলায় ১৩৪৪ জন আসামির মধ্যে ২৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আসামিদের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, বিস্ফোরক আইনের বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে ঘটে ভয়াবহ বিদ্রোহ, যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরক আইনে মামলার বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে, তবে মাঝপথে কার্যক্রম স্থগিত রেখে শুধুমাত্র হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। এই কারণে বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় বিস্ফোরক আইনের বিচার থমকে গেছে, যা আসামিদের ও তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

নথি জটিলতায় বিলম্বিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের বিচার, জামিনের অপেক্ষায় ৩০০ সাবেক বিডিআর সদস্য

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর আজ, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আদালত রায় দেবেন। এর আগে, কেরানিগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান নিয়েছেন, যারা রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়, তবে আদালত আদেশ পরে দেওয়ার কথা জানান। এর আগে, ২৩ জানুয়ারি ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পায় ১৬৮ বিডিআর সদস্য।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় বর্তমানে ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে প্রায় আড়াইশ জন জামিন পেয়েছেন। তবে, বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মামলায় ১৩৪৪ জন আসামির মধ্যে ২৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আসামিদের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, বিস্ফোরক আইনের বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে ঘটে ভয়াবহ বিদ্রোহ, যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরক আইনে মামলার বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে, তবে মাঝপথে কার্যক্রম স্থগিত রেখে শুধুমাত্র হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। এই কারণে বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় বিস্ফোরক আইনের বিচার থমকে গেছে, যা আসামিদের ও তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।