১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নথি জটিলতায় বিলম্বিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের বিচার, জামিনের অপেক্ষায় ৩০০ সাবেক বিডিআর সদস্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 82

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর আজ, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আদালত রায় দেবেন। এর আগে, কেরানিগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান নিয়েছেন, যারা রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়, তবে আদালত আদেশ পরে দেওয়ার কথা জানান। এর আগে, ২৩ জানুয়ারি ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পায় ১৬৮ বিডিআর সদস্য।

বিজ্ঞাপন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় বর্তমানে ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে প্রায় আড়াইশ জন জামিন পেয়েছেন। তবে, বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মামলায় ১৩৪৪ জন আসামির মধ্যে ২৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আসামিদের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, বিস্ফোরক আইনের বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে ঘটে ভয়াবহ বিদ্রোহ, যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরক আইনে মামলার বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে, তবে মাঝপথে কার্যক্রম স্থগিত রেখে শুধুমাত্র হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। এই কারণে বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় বিস্ফোরক আইনের বিচার থমকে গেছে, যা আসামিদের ও তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নথি জটিলতায় বিলম্বিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের বিচার, জামিনের অপেক্ষায় ৩০০ সাবেক বিডিআর সদস্য

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর আজ, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আদালত রায় দেবেন। এর আগে, কেরানিগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান নিয়েছেন, যারা রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়, তবে আদালত আদেশ পরে দেওয়ার কথা জানান। এর আগে, ২৩ জানুয়ারি ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পায় ১৬৮ বিডিআর সদস্য।

বিজ্ঞাপন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় বর্তমানে ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে প্রায় আড়াইশ জন জামিন পেয়েছেন। তবে, বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মামলায় ১৩৪৪ জন আসামির মধ্যে ২৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আসামিদের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, বিস্ফোরক আইনের বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে ঘটে ভয়াবহ বিদ্রোহ, যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরক আইনে মামলার বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে, তবে মাঝপথে কার্যক্রম স্থগিত রেখে শুধুমাত্র হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। এই কারণে বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় বিস্ফোরক আইনের বিচার থমকে গেছে, যা আসামিদের ও তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।