০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 88

ছবি সংগৃহীত

 

অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা হলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং আরও দুই শিক্ষক।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল। তদন্তে এ সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ জানা গেছে, অভিযুক্তরা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে মেধার পরিবর্তে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের দুর্নীতি উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ শুধু যবিপ্রবিতেই নয়, দেশের আরও কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা হলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং আরও দুই শিক্ষক।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল। তদন্তে এ সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ জানা গেছে, অভিযুক্তরা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে মেধার পরিবর্তে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের দুর্নীতি উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ শুধু যবিপ্রবিতেই নয়, দেশের আরও কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।