তদন্ত প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন: অনুমতি ছাড়াই তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষমতা পেলেন তদন্ত কর্মকর্তা

- আপডেট সময় ১১:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 50
সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষমতা বাড়িয়ে সংশোধিত আইন অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গত ২০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত এই অধ্যাদেশটি জাতীয় সংসদ চলমান না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জারি করেন। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করতে এই সংশোধন আনা হয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ অনুযায়ী, আইনের ৪, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে তদন্ত কর্মকর্তারা ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়াই তল্লাশি চালাতে এবং আলামত জব্দ করতে পারবেন। আগে এই ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের অনুমতির ওপর নির্ভরশীল ছিল।
বিচার শুরুর ছয় সপ্তাহ আগে সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন তা কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে, যা বিচারিক কার্যক্রমের গতি বাড়াবে। ১১ নম্বর ধারায় সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের নির্দেশ দিতে পারবে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে সেই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতাও থাকবে ট্রাইব্যুনালের হাতে।
আগের আইনে শুধু মামলার নথি গোপন রাখা হতো, এখন নতুন সংশোধনীতে অভিযোগকেও গোপন রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে। অপরদিকে, ১৯ নম্বর ধারায় নতুন উপধারা সংযোজন করে বলা হয়েছে, সাক্ষ্য গ্রহণে ট্রাইব্যুনালকে কারিগরি জটিলতায় আবদ্ধ থাকতে হবে না। তারা দ্রুত ও সহজতর পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচার করতে পারবেন।