ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রেমাদাসায় তাসকিন–তানজিমের বোলিং তোপে ২৪৪ রানে থামল লঙ্কানরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৮.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, উল্লেখযোগ্য পোশাক খাত জুলাই সনদ দলীয় হলে সার্বজনীনতা হারাবে: আন্দালিভ রহমান পার্থ পাকিস্তানে সরকারি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমিশনারসহ নিহত ৫, আহত ১১ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটলেও ফ্যাসিস্টিক ব্যবস্থা এখনও বিদ্যমান: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপির ত্যাগ বেশি: তারেক রহমান চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রাকের ধাক্কা, গাড়ি কেটে হেলপারকে উদ্ধার উত্তরসূরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়: দালাই লামা চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর দক্ষতার ওপর আস্থা রয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

 

শেখ রেহানার স্বামী শফিক সিদ্দিক এবং দেবর তারিক সিদ্দিকের মালিকানাধীন গাজীপুর সদরের জমি ও ১০ তলা একটি ভবন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জব্দের আদেশপ্রাপ্ত এ সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে ওই স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শফিক সিদ্দিক এবং তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে তারা এসব স্থাবর সম্পদ অন্য কারও কাছে বিক্রি, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তরা যাতে এই সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য আদালতের জব্দাদেশ প্রয়োজন। আদালত যাচাই-বাছাই শেষে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শফিক সিদ্দিক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার স্বামী এবং তারিক সিদ্দিক শফিক সিদ্দিকের ভাই। দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই গাজীপুর সদরে অবস্থিত প্রায় ১৫ কোটি টাকার জমি ও ১০ তলা ভবন জব্দের উদ্যোগ নেয়া হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পদ বিক্রয় বা স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। প্রয়োজনে তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৬:১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

শেখ রেহানার স্বামী শফিক সিদ্দিক এবং দেবর তারিক সিদ্দিকের মালিকানাধীন গাজীপুর সদরের জমি ও ১০ তলা একটি ভবন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জব্দের আদেশপ্রাপ্ত এ সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে ওই স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শফিক সিদ্দিক এবং তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে তারা এসব স্থাবর সম্পদ অন্য কারও কাছে বিক্রি, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তরা যাতে এই সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য আদালতের জব্দাদেশ প্রয়োজন। আদালত যাচাই-বাছাই শেষে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শফিক সিদ্দিক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার স্বামী এবং তারিক সিদ্দিক শফিক সিদ্দিকের ভাই। দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই গাজীপুর সদরে অবস্থিত প্রায় ১৫ কোটি টাকার জমি ও ১০ তলা ভবন জব্দের উদ্যোগ নেয়া হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পদ বিক্রয় বা স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। প্রয়োজনে তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।