ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।