০৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।