ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ পাইলট নিহত, আহত আরও ৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর গুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পিসহ গ্রেপ্তার ৩

রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আংশিক ঘোষণা, পূর্ণাঙ্গ রায় ১৩ মে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায় আংশিকভাবে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী ১৩ মে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান। তারা বলেন, আজ আদালত কেবল ঘটনার বিবরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের বিশ্লেষণ তুলে ধরবে, আর রায়ের কার্যকরী অংশ (অপারেটিং পার্ট) ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ মে।

আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে চালানো বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৯ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই নীলক্ষেত ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি)-এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। উল্লেখ্য, সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মো. তাজউদ্দিন (সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরাও আপিল ও জেল আপিল করেন। ২০১৬ সালে শুনানি শুরু হলেও দীর্ঘদিন তা স্থগিত ছিল। অবশেষে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটি পুনরায় কার্যতালিকায় আসে। ১৮ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করে।

আগামী ১৩ মে ঘোষণা হবে এই বহুল আলোচিত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আংশিক ঘোষণা, পূর্ণাঙ্গ রায় ১৩ মে

আপডেট সময় ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায় আংশিকভাবে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী ১৩ মে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান। তারা বলেন, আজ আদালত কেবল ঘটনার বিবরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের বিশ্লেষণ তুলে ধরবে, আর রায়ের কার্যকরী অংশ (অপারেটিং পার্ট) ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ মে।

আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে চালানো বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৯ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই নীলক্ষেত ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি)-এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। উল্লেখ্য, সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মো. তাজউদ্দিন (সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরাও আপিল ও জেল আপিল করেন। ২০১৬ সালে শুনানি শুরু হলেও দীর্ঘদিন তা স্থগিত ছিল। অবশেষে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটি পুনরায় কার্যতালিকায় আসে। ১৮ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করে।

আগামী ১৩ মে ঘোষণা হবে এই বহুল আলোচিত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়।