হবিগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় পুলিশ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বড় কেয়ারা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক জহুর আলীকে (৫৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং সীমান্তপারের কিছু ভারতীয় লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ভারতের খোয়াই পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ত্রিপুরার খোয়াই মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে। নিহত জহুর আলী চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন জহুর আলী। তিনি সম্প্রতি ছুটিতে গ্রামে আসেন। ঢাকায় থাকা অবস্থায় তিনি অল্প দামে কিছু লুঙ্গি কিনে আনেন, যা গ্রাম এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছিলেন। গতকাল সোমবার লুঙ্গিগুলো বিক্রির জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার সকালে বড় কেয়ারা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা ভারতীয় অংশের গৌরনগর এলাকায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম বলেন, ‘আমরা জানতে পারি, খোয়াই জেলার পুলিশ ভারতের গৌরপুর সীমান্তে এসে লাশটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জহুর আলীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।