অধ্যাপক ইউনূসসহ ৭ জনের আপিল মঞ্জুর, দুদকের মামলা খারিজ

- আপডেট সময় ১১:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলার কার্যক্রম বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।
রায়ের ফলে অধ্যাপক ইউনূসসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাটির কার্যক্রম বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান। তিনি বলেন, “হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে আপিল বিভাগ আপিলকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ফলে মামলাটি আর চলবে না।”
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন করেছেন।
এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধ্যাপক ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তারা গত বছরের ৮ জুলাই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। তবে হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ২৪ জুলাই। এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তারা।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগের শুনানি শেষ হয় এবং রায় ঘোষণার জন্য ২৩ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়। আজকের রায়ে আদালত স্পষ্টভাবে বলেন, “আপিল গ্রহণ করা হলো।”
আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন এবং খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম (বর্তমানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
তবে আপিলকারীদের আইনজীবীদের দাবি, মামলাটি বিচারিক আদালতে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এর আগেই গত ১১ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিশেষ জজ আদালত তা মঞ্জুর করেন, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ২০২৩ সালের ৩০ মে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তদন্তে উঠে আসে, আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করেছেন। তবে আপিল বিভাগের রায়ে মামলার ইতি টানলো অধ্যাপক ইউনূসসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য।