গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

- আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / 27
জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত কথিত গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষস্থানীয় ৪৫ নেতার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণের তথ্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রোববার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। মামলাটির ধারাবাহিক শুনানির অংশ হিসেবে আজ আদালতে হাজির করা হয় ১৭ জন প্রভাবশালী অভিযুক্তকে।
আজ উপস্থিত ১৭ জনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক এমপি সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির প্রথম দফায় ১৯ জন আসামিকে হাজির করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিলেন ১২ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা। তখনই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ২০ এপ্রিল।
এ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত ঘটনাগুলোর সময় তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছিলেন বা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে তদন্ত সংস্থা মনে করছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং অধিকতর তথ্য যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
জনগণের দৃষ্টি এখন টানছে এই মামলার পরবর্তী অগ্রগতি ও আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে। এই মামলার রায় বাংলাদেশের রাজনীতি ও আইনি পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।