ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগপত্র রবিবার দাখিল করবে প্রসিকিউশন তামাকের ক্ষতি গরুও বোঝে, মানুষ নয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জার্মানিতে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ২ বরিশালে জাতীয় পার্টির হামলায় গণ অধিকার পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী আহত রাজধানীতে বড় সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের ভারতে ফের করোনার আঘাত, মৃত ৭, আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার মেঘনায় ভয়াবহ ট্রলারডুবি: ২৫ জন জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও ১৪ নির্বাচনকে ঘিরে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবারও ধস ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, চার দিনে আক্রান্ত ১৭শ’র বেশি

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শো অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে চিন্ময় দাসের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর আইনজীবী শুভাশীষ শর্মাকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চ্যুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালত ভবনে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাইফুল হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা জানান, আইনজীবী সাইফুলের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে কোপ দেন রিপন, কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন। পরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে লাঠি, ইট, বাটাম ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা ফিরোজ খান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। এরপর ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। এসব মামলার ভার্চ্যুয়াল শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

আপডেট সময় ১২:২৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শো অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে চিন্ময় দাসের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর আইনজীবী শুভাশীষ শর্মাকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চ্যুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালত ভবনে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাইফুল হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা জানান, আইনজীবী সাইফুলের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে কোপ দেন রিপন, কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন। পরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে লাঠি, ইট, বাটাম ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা ফিরোজ খান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। এরপর ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। এসব মামলার ভার্চ্যুয়াল শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।