১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

দেশপ্রেমিক সেনারা কখনোই আপোষ করবেন না”- দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন, “যেসব অফিসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আপোষ করবেন না।”

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভিডিওটিতে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে সেনা সদস্যদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও ভূমিকার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দেশপ্রেমিক অফিসাররা ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাতে রাজি হননি।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও লেখেন, “আমরা সেই দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই, যারা গণবিচ্ছিন্ন আদেশ মানেননি। তারা কখনোই জাতিকে বিপদে ফেলে কোনো সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের পুনর্বাসনে অংশ নেবেন না এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”

হাসনাতের এ মন্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এদিকে এনসিপি নেতার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনের মধ্যেই এই বক্তব্যকে অনেকে দেখছেন একটি সচেতন প্রচারণা হিসেবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এনসিপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী সব সময় গণমানুষের পাশে থাকবে।”

তবে এখনো এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এমন স্পর্শকাতর বার্তা ছড়িয়ে পড়ার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ফলে সংবেদনশীল বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশপ্রেমিক সেনারা কখনোই আপোষ করবেন না”- দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর

আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন, “যেসব অফিসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আপোষ করবেন না।”

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভিডিওটিতে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে সেনা সদস্যদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও ভূমিকার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দেশপ্রেমিক অফিসাররা ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাতে রাজি হননি।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও লেখেন, “আমরা সেই দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই, যারা গণবিচ্ছিন্ন আদেশ মানেননি। তারা কখনোই জাতিকে বিপদে ফেলে কোনো সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের পুনর্বাসনে অংশ নেবেন না এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”

হাসনাতের এ মন্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এদিকে এনসিপি নেতার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনের মধ্যেই এই বক্তব্যকে অনেকে দেখছেন একটি সচেতন প্রচারণা হিসেবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এনসিপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী সব সময় গণমানুষের পাশে থাকবে।”

তবে এখনো এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এমন স্পর্শকাতর বার্তা ছড়িয়ে পড়ার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ফলে সংবেদনশীল বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।