ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

দেশপ্রেমিক সেনারা কখনোই আপোষ করবেন না”- দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন, “যেসব অফিসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আপোষ করবেন না।”

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভিডিওটিতে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে সেনা সদস্যদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও ভূমিকার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দেশপ্রেমিক অফিসাররা ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাতে রাজি হননি।”

তিনি আরও লেখেন, “আমরা সেই দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই, যারা গণবিচ্ছিন্ন আদেশ মানেননি। তারা কখনোই জাতিকে বিপদে ফেলে কোনো সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের পুনর্বাসনে অংশ নেবেন না এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”

হাসনাতের এ মন্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এদিকে এনসিপি নেতার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনের মধ্যেই এই বক্তব্যকে অনেকে দেখছেন একটি সচেতন প্রচারণা হিসেবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এনসিপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী সব সময় গণমানুষের পাশে থাকবে।”

তবে এখনো এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এমন স্পর্শকাতর বার্তা ছড়িয়ে পড়ার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ফলে সংবেদনশীল বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশপ্রেমিক সেনারা কখনোই আপোষ করবেন না”- দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর

আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন, “যেসব অফিসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আপোষ করবেন না।”

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভিডিওটিতে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে সেনা সদস্যদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও ভূমিকার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দেশপ্রেমিক অফিসাররা ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাতে রাজি হননি।”

তিনি আরও লেখেন, “আমরা সেই দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই, যারা গণবিচ্ছিন্ন আদেশ মানেননি। তারা কখনোই জাতিকে বিপদে ফেলে কোনো সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের পুনর্বাসনে অংশ নেবেন না এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”

হাসনাতের এ মন্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এদিকে এনসিপি নেতার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনের মধ্যেই এই বক্তব্যকে অনেকে দেখছেন একটি সচেতন প্রচারণা হিসেবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে এনসিপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী সব সময় গণমানুষের পাশে থাকবে।”

তবে এখনো এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এমন স্পর্শকাতর বার্তা ছড়িয়ে পড়ার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ফলে সংবেদনশীল বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।